বুলগেরিয়ার নতুন কবিতা
রুদ্র কিংশুক
নিকোলাই আতানাসোভ (Nikolai Atanasov, 1978--2019)- এর জন্ম বুলগেরিয়ার প্লেভেনে। সোফিয়ার সেন্ট ক্লিমেন্ট য়্যুনিভারসিটিতে তিনি বুলগেরিয়ো দর্শন নিয়ে পড়াশুনো করেছেন। আমেরিকার ব্রাউন কলেজে তিনি পড়েছেন ইংরেজি সাহিত্য। কবি এবং গে-রাইটস অ্যাক্টিভিস্ট বাস করতেন আমেরিকায় ।তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এবং সংকলনে । খুব অল্প বয়সে তাঁর মৃত্যুতে বুলগেরীয় কবিতা হারিয়েছে এক প্রতিবাদী এক প্রতিবাদী মৌলিক এবং প্রথা বহির্ভূত চিন্তককে।
১.
সোনার পেগাসুসগুলো
তারা কেবল নর্তক-নর্তকী নয়,
উত্থিত মহার্ঘ মস্তকের।
তারা নাটকীয় প্যারাডক্স:
ভারী পেশি-সংগঠন , বাহিত
রক্তহীন সোনাপাত মোড়ানো ডানায়,
যেন জ্বলন্ত পতাকা
যা নিয়ে তাদের খোলাখুলি প্রদর্শন
বছরে একদিন
পেগাসুস হওয়া কতটা মহান ব্যাপার !
তারা নয় কেবল ডানাওয়ালা নার্সিসাস,
ভাঙ্গা পাত্র থেকে উৎসারিত,
তাদের গুণমুগ্ধদের কাছে তারা পুরস্কারও!
সোনাপাত মোড়ানো গোড়ালির ওপর তাদের দৌড়
আশ্চর্যজনকভাবে দীর্ঘায়ু
কারণ প্রতিদিন তারা জিমে যায়
ছানাপোনা ছাড়া, সত্যিকারের ঘোড়া নিয়ে
ছানাদের স্বর্গে থাকাটাই
তাদের পছন্দ ।
পেগাসুহ হওয়াটা ঠিক করেনি
তারা
তাদের হওয়াটা পূর্বনির্ধারিত।
দেখো কীভাবে তাদের ঠোঁটে
দীপ্তি পায়
আবেগমথিত:
গা ন গা ও য়া !!!!
২.
ঝিনুক
ভেনাস সমুদ্রে এই কর্কশ
মানুষ
তলকে খুঁজে পায় অনুপ্রাণী গর্ত-স্বরূপ।
কিন্তু তার ভারী ঢাল আপাত ক্ষতি-সম্ভাবনাহীন
পড়ে:
ভিতরে সে বহুমুখী এবং বিশ্বাসঘাতী ।
চমৎকার তার ঝিনুকখচিত মেরুদন্ড,
একটা অস্ত্র
অতন্দ্র প্রহরায় একটা ডুবে যাওয়া দেয়াল ।
যার আড়ালে সে অযৌক্তিকভাবে ছোটো হয়,
বার করে দেয়
সাহায্য-উৎসাহী গুঁড়িমারা সূর্যরশ্মিদের।
সে জড়ায় খতরনক শরীর মুক্তো দিয়ে,
বাক্য
স্থায়ী সৌন্দর্যকে অস্বীকার করে ।
যতক্ষণ না জলদেবতা তাঁর ত্রিশূল দিয়ে
সেটাই করেন
এবং মৃত্যুরঠাসা খোলক জোর করে খুলে য়ায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন