সৌমিত্র রায় -এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
৪৪.
৬ জুলাই ১৯৯৬ , আমরা বেশ কয়েকজন শিয়ালদহ স্টেশনে হাজির হয়েছিলাম।অগ্রজদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলোক সরকার , উৎপলকুমার বসু , পবিত্র মুখোপাধ্যায় সহ টিম কবিতাপাক্ষিক।সেই টিমে অনুজদের কয়েকটি নাম : শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় রজতেন্দ্র মুখোপাধ্যায় সুমিতেশ সরকার কানাইলাল জানা যশোধরা রায়চৌধুরী হিমাদ্রিশেখর দত্ত সহ আরো বেশ কয়েকজন।
শিয়ালদহ স্টেশনে একটি ঘটনা ঘটেছিল , সেটি কবিতাসংবাদে লেখা নেই। সেই ঘটনা বা দুর্ঘটনাটি লিখে রাখা উচিত। শিয়ালদহ প্ল্যাটফর্মে তাঁর দু-পায়ের ফাঁকে রেখেছিলেন তাঁর ব্যাগটি। মুহূর্তের অনবধানবশত সেই ব্যাগটি উধাও হয়ে যায়। এই ব্যাগ চুরি যাওয়াটা উৎপলদাকে বিন্দুমাত্র টলাতে পারেনি। আমাদের খুব খারাপ লাগছিল। এব্যাপারে উৎপলদা আমাদের সান্ত্বনা দিয়েছিলেন।
মান্যবর শঙ্খ ঘোষ আগেই চলে গিয়েছিলেন।
ট্রেনযাত্রায় নেতৃত্ব দিয়েছিল রজত শান্তনু সুমিতেশ। গানআড্ডা হকার সামলানো সব কিছুতেই।
বহরমপুর নেমেই নির্দেশ এল আগে রাতের খাবার খেয়ে নিতে হবে। মনে আছে স্টেশনের পাশেই হোটেলে খাওয়া ব্যবস্থা হয়েছিল। খাবার পর ঘর অ্যালটমেন্ট। কারা কারা কোন কোন বাংলোয় থাকবেন সেটা নির্ধারণ করেছিলাম আমি আর নাসের।
খাওয়াটা ছিল ইচ্ছে মতো। কেউ ভাত , কেউবা রুটি। সঙ্গে ডাল তরকারি মাছ / ডিম। ইচ্ছা মতো।।
খাবার পর কয়েকটা গাড়িতে করে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল বাংলোগুলিতে। সার্কিটহাউসে পাঠানো হয়েছিল আলোক সরকার উৎপলকুমার বসু সৈয়দ কওসার জামাল।ইরিগেশন বাংলোয় যশোধরা রায়চৌধুরী তুষার চৌধুরী সোমক দাস অনুরাধা মহাপাত্র আরো কেউ কেউ। পি ডাবল্যু বাংলোতে শান্তনু রজত সুমিতেশ হিমাদ্রিশেখর ।হেলথ -এর গেস্টহাউসে কানাইলাল জানা কার্তিক মোদক সহ আরো দুজন।আর অন্য একটি বাংলোয় অলোক বিশ্বাস ধীমান চক্রবর্তী প্রণব পাল এবং আরো দু-একজন।
আর আমি ছিলাম WBSEB -তে। লাালদিঘির পাড়ের আমার পুরোনো আস্তানায়।
পরদিন জানতে পারলাম কানাইলাল জানা তার পছন্দ মতো সঙ্গী না পাওয়ায় ভোরবেলায় কাউকে কিছু না বলে ফিরে এসেছিল। এই থাকার যাবতীয় কাজটি আমার নির্দেশ মতো হয়েছিল।কানাই আগে জানালে আমার ঘরেও থেকে যেতে পারতো। যাই হোক , ভুলটা আমারই হয়েছিল।
পরের দিনের লম্বা মিছিল অনুষ্ঠান এবং ভোজের গল্প আগামীকাল।
প্রভাত চৌধুরী
৪৪.
৬ জুলাই ১৯৯৬ , আমরা বেশ কয়েকজন শিয়ালদহ স্টেশনে হাজির হয়েছিলাম।অগ্রজদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলোক সরকার , উৎপলকুমার বসু , পবিত্র মুখোপাধ্যায় সহ টিম কবিতাপাক্ষিক।সেই টিমে অনুজদের কয়েকটি নাম : শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় রজতেন্দ্র মুখোপাধ্যায় সুমিতেশ সরকার কানাইলাল জানা যশোধরা রায়চৌধুরী হিমাদ্রিশেখর দত্ত সহ আরো বেশ কয়েকজন।
শিয়ালদহ স্টেশনে একটি ঘটনা ঘটেছিল , সেটি কবিতাসংবাদে লেখা নেই। সেই ঘটনা বা দুর্ঘটনাটি লিখে রাখা উচিত। শিয়ালদহ প্ল্যাটফর্মে তাঁর দু-পায়ের ফাঁকে রেখেছিলেন তাঁর ব্যাগটি। মুহূর্তের অনবধানবশত সেই ব্যাগটি উধাও হয়ে যায়। এই ব্যাগ চুরি যাওয়াটা উৎপলদাকে বিন্দুমাত্র টলাতে পারেনি। আমাদের খুব খারাপ লাগছিল। এব্যাপারে উৎপলদা আমাদের সান্ত্বনা দিয়েছিলেন।
মান্যবর শঙ্খ ঘোষ আগেই চলে গিয়েছিলেন।
ট্রেনযাত্রায় নেতৃত্ব দিয়েছিল রজত শান্তনু সুমিতেশ। গানআড্ডা হকার সামলানো সব কিছুতেই।
বহরমপুর নেমেই নির্দেশ এল আগে রাতের খাবার খেয়ে নিতে হবে। মনে আছে স্টেশনের পাশেই হোটেলে খাওয়া ব্যবস্থা হয়েছিল। খাবার পর ঘর অ্যালটমেন্ট। কারা কারা কোন কোন বাংলোয় থাকবেন সেটা নির্ধারণ করেছিলাম আমি আর নাসের।
খাওয়াটা ছিল ইচ্ছে মতো। কেউ ভাত , কেউবা রুটি। সঙ্গে ডাল তরকারি মাছ / ডিম। ইচ্ছা মতো।।
খাবার পর কয়েকটা গাড়িতে করে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল বাংলোগুলিতে। সার্কিটহাউসে পাঠানো হয়েছিল আলোক সরকার উৎপলকুমার বসু সৈয়দ কওসার জামাল।ইরিগেশন বাংলোয় যশোধরা রায়চৌধুরী তুষার চৌধুরী সোমক দাস অনুরাধা মহাপাত্র আরো কেউ কেউ। পি ডাবল্যু বাংলোতে শান্তনু রজত সুমিতেশ হিমাদ্রিশেখর ।হেলথ -এর গেস্টহাউসে কানাইলাল জানা কার্তিক মোদক সহ আরো দুজন।আর অন্য একটি বাংলোয় অলোক বিশ্বাস ধীমান চক্রবর্তী প্রণব পাল এবং আরো দু-একজন।
আর আমি ছিলাম WBSEB -তে। লাালদিঘির পাড়ের আমার পুরোনো আস্তানায়।
পরদিন জানতে পারলাম কানাইলাল জানা তার পছন্দ মতো সঙ্গী না পাওয়ায় ভোরবেলায় কাউকে কিছু না বলে ফিরে এসেছিল। এই থাকার যাবতীয় কাজটি আমার নির্দেশ মতো হয়েছিল।কানাই আগে জানালে আমার ঘরেও থেকে যেতে পারতো। যাই হোক , ভুলটা আমারই হয়েছিল।
পরের দিনের লম্বা মিছিল অনুষ্ঠান এবং ভোজের গল্প আগামীকাল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন