বিশ্বদুনিয়ার নতুন কবিতা
রুদ্র কিংশুক
নাদিয়া রাদুলোভা-র কবিতা
১. কী পড়ে থাকে
যদি বসন্ত থেকে প্রাথমিক বসন্ত বিয়োগ করি, পড়ে থাকে তলানি,
নীলফুল, শ্বাসনালির উত্তোলিত হালকা ইনফেকশন,
ভেড়ার ছানা, হাড্ডিসার,--- এখন
ক্রিস্টিনা রোসেট্টি আর উইলিয়াম ব্লেক আকাশে তাদের লোম আঁচড়াক---
তারপর দ্রুত, ফোলানো সবুজ, এপ্রিলের
বিরাট মরুভূমি
প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত
রক্তে আক্রমণ, সূর্য ,
অথবা সাধারণ আক্রমণ; কী পড়ে থাকে যদি
বাড়ি থেকে বিয়োগ করি ছেলেপুলে অথবা তাদের ভাবনা ,
চিপসে বালিশ, ফল আর তরিতরকারি
কোণের বড় ঝুড়িতে, ঘরকোণ, সমস্ত কোণ
চমৎকার রুপোলি মাকড়সাজাল---সময়ের কাঁটা চামচ,
কীভাবে আমাদের ঘেরে আবোলতাবোলে, কাটাকুটি করে
ছোট টুকরে --- আবার খাবারের কোমল
অবশেষ, অভিসিঞ্চন,
প্রজনন ঋতু, কী পড়ে থাকে
যদি আমরা বিয়োগ করি গলায় আটকানো মাছের কাঁটা
প্রিয়জনের গলা থেকে, পেটুক বেড়াল দেখো কীভাবে চাঁদকে আটকায় উঠানে, হারায় বেড়ালত্ব,
এখন সে বেড়াল নয়, হতাশার চাকা
প্রজ্জ্বলিত রেশমী কাপড়, অন্ধকারের মাঝে ছুঁড়ে ফেলা,
তারপর মাঝখান নিভে যায়
আর মুহূর্তের জন্য পড়ে থাকে অন্ধকার কিন্তু অন্ধকার থেকে
কিছুই বাদ দেয়া যায় না
অথবা পড়ে থাকে না কিছুই।
২. ছোটো রেমব্রান্ত
আয়নায়
একটা পুরনো
বহু উপেক্ষিত
কাঠ কয়লার উনুন
এবং ডান দিকে একটা সিংক।
গরম প্লেটের ওপর
তিনটে আলু
দুটো বড় একটা অপেক্ষাকৃত ছোটো।
অনেক বছর আগে
ট্যাপে গরম জল
পড়তো।
আমার মায়ের হাত
বদলে গিয়েছিল বাদামী রঙ
আর পরিচ্ছন্ন
তৈলাক্ত খাবারের ঠান্ডার ভেতর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন