সৌমিত্র রায় - এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
৫২.
২৮ জুন, ১৯৯৭ । সন্ধে ৬ টা। দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান ।
এ প্রজন্মের কবিদের সম্মান প্রদান করা হল। সম্মান পেলেন অমিতেশ মাইতি পিনাকী ঘোষ মল্লিকা সেনগুপ্ত রফিক উল ইসলাম সুব্রত চেল মানসকুমার চিনি যশোধরা রায়চৌধুরী সাম্যব্রত জোয়ারদার সুদীপ বসু সুমিতেশ সরকার। এঁদের হাতে সম্মান- ফলক তুলে দিয়েছিলেন : বিজয়া মুখোপাধ্যায় কবিরুল ইসলাম তারাপদ আচার্য মঞ্জুষ দাশগুপ্ত সৈয়দ খালেদ নৌমান ব্রত চক্রবর্তী সুবোধ সরকার শ্যামলকান্তি দাশ তুষার চৌধুরী সমরেন্দ্র দাস ।
এরপর কবিতাপাক্ষিক সম্মানফলক প্রদান করা হয়
' কৃত্তিবাস ' এবং ' শতভিষা ' , বাংলাভাষার দুটি উল্লেখযোগ্য পত্রিকাকে। কৃত্তিবাস-এর পক্ষ সম্মাননা গ্রহণ করেন বিজয়া মুখোপাধ্যায়।দীপংকর দাশগুপ্ত গ্রহণ করেন শতভিষা-র সম্মানফলক।
পরের পর্ব কবিতাপাঠের আসর।
কবিতা পড়েছিলেন : অমিতেশ মাইতি পিনাকী ঘোষ রফিক উল ইসলাম সুব্রত চেল মানসকুমার চিনি যশোধরা রায়চৌধুরী সুদীপ বসু সুমিতেশ সরকার আলোক সরকার বিজয়া মুখোপাধ্যায় মৃত্যুঞ্জয় সেন মঞ্জুষ দাশগুপ্ত ব্রত চক্রবর্তী সুজিত সরকার প্রশান্ত গুহমজুমদার সৈয়দ খালেদ নৌমান গৌরীশংকর দে অনন্ত দাশ জহর সেনমজুমদার নিখিলকুমার সরকার দেবাশিস প্রধান নীলিমা সাহা নয়ন রায় রজতশুভ্র গুপ্ত দিলীপ ঘোষমৌলিক অরুণ চক্রবর্তী ( দিল্লি) সোমক দাস জয়দীপ চক্রবর্তী গৌতম ব্রহ্মর্ষি প্রমুখ সঞ্চালক ছিলেন দীপ সাউ
এদিনের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন নাসের হোসেন ।
প্রথম দিনের অনুষ্ঠানের পর কয়েকটি খুঁটিনাটি কথা নাসের হোসেন লিখে রেখেছিল। সেই লেখা থেকে :
বাঁকুড়া বর্ধমান মেদিনীপুরের কবিদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল হাজরা- ল্যান্সডাউন ক্রসিং-এর খুব কাছে একটা ভাড়াবাড়িতে। দায়িত্বে ছিল কবি এবং ফটোগ্রাফার অশোককুমার দে। দুর্গাপুর থেকে আগত কবিরা ছিলেন প্রিন্স আনোয়ার স্ট্রিটের একটা গেস্ট হাউসে।
২৮ জুন সকালে মল্লিকঘাটের ফুলবাজার থেকে ফুল কিনতে গিয়েছিল কানাইলাল জানা এবং দেবাশিস প্রধান।
কবিতাপাক্ষিক সম্মানফলকের ডিজাইন করেছিলাম আমি। রূপদান করেছিল চন্দ্রেশ্বর ধর।
কবিতাপাক্ষিক-এর প্রথম সুহৃদ সনাতন দে-র এঁকেছিল মাথাভাঙায় বসবাস করা কবি সন্তোষ সিংহ-র ছেলে দেবার্ণব সিংহ। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি কবিতাপাক্ষিক-এর বইমেলার স্টলের দেওয়ালে এখনো এই প্রতিকৃতিটিই টাঙানো থাকে।
অনুষ্ঠানের ফটো তোলার দায়িত্বে ছিল অশোককুমার দে ।
প্রবীণ কবি অরুণ মিত্র-কে বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছিল নাসের হোসেন। আর বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছিল শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রজতেন্দ্র মুখোপাধ্যায়।
মান্যবর শঙ্খ ঘোষ-কে নিয়ে এসেছিল সুশান্ত মুখোপাধ্যায়।
চা ও জলখাবারের দায়িত্ব ছিল রজতেন্দ্র মুখোপাধ্যায় অংশুমান কর নয়ন রায় -এর ওপর ।
গাড়ি দেখাশুনোর দায়িত্বে ছিল শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঞ্চের পিছনে ' কবিতাপাক্ষিক ১০০ ' কথা কটি থার্মোকল কেটে তৈরি করে দিয়েছিল আমার ভাই শিল্পী শিব চৌধুরী। যার তৈরি লোগো কবিতাপাক্ষিক - এর প্রথম সংখ্যা থেকে এখনো ব্যবহৃত হচ্ছে।
২৯- এর খবর আগামীকাল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন