পূরবী~ ১০
অভিজিৎ চৌধুরী
কে আপনি!
কে?
উত্তর দিন।
সেদিন ছিল হেমন্তের সন্ধে।শীত পড়েছে বেশ শান্তিনিকেতনেও।বুলা মিডিয়ম হয়েছে।
উত্তর এলো,জ্যোতিদাদা।তোমার নতুন বউঠান পাঠালেন।
একবার তখন বিলেতে।রাতে আত্মাটা দেহ থেকে বেরিয়ে জোড়াসাঁকো গেলো।ছোট বউ,দিব্যি তোমার পাশে গিয়ে শুলুম।বড় খাটে আর ছিল বেলি আর খোকা।ফিরে গিয়ে শুধাবো,তুমি টের পেয়েচিলে সেই যে বিলেত থেকে তোমায় দেখতে এসে সামান্য আদর করলুম।
তীর্থও ভাবছিল,সংসার মিথ্যে নয়।সবটাই সত্যি।কেউ চলে গেলে আবার একজন আসছেন।তাতে রোদ ওঠায় নতুন চলায় কোন ছেদ নেই।এ যেন দিন থেকে রাতে প্রবেশ।
ছোট বউ,রথীর বিয়ের পাত্রী কিছুতেই পছন্দ করতে পারছি না।তুমি বারবার নাকচ করচ।আজ বলতেই হবে- কে!
প্রতিমা।কায়াহীনা উত্তর দিলে।
রাতচরা পাখি ডানার ঝাপট শুনিয়ে উড়ে গেলো।
একবার দেবাশিসবাবু,জয়ন্তী মহোদয়ার আমন্ত্রণে জোড়াসাঁকো গেলাম।ঘরগুলি ঘুরছি যেন মনে হল ওরা কথা বলছেন।শমী বেলা মৃণালিনী সকলেই।শুধু আমি দেখতে পাচ্ছি না।
তোমার জ্যোতিদাদা কি বললে!
নতুন বউঠাান,জীবন কি একটা মস্তো ফাঁকি!
হাসলে শুধু।
শমী বললো,সে একটা বৃক্ষালোকে রয়েছে,ভারী সুন্দর।
তীর্থ ভাবছিল,তাদের বাড়িতেও প্ল্যানচেট হতো।পেন্সিল চলতে শুরু করতো।এখন মনে হয় সবটাই কল্পনা।
রবীন্দ্রনাথ কি জানতেন না,প্ল্যানচেট সত্যি নয়।তবুও ওপারের জীবনে বিশ্বাসী হওয়া।যেন কিছু হারায়নি।কথার কথাও নয়।
সেদিন বড়পিসি মিডিয়ম হয়ে যা উত্তর দিয়েছেন,সবটা নিজেদের চাওয়া।রবীন্দ্রনাথও তাই।কল্পনাকে নিজের কাছেই সত্যি করা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন