অণুগল্প
ইতি || সোমনাথ বেনিয়া
ইচ্ছাকৃত না হলেও 'ক'-এর পাশে 'গ' থাকতো। এতে 'ক' লজ্জা পেতো। অবশ্য 'গ'-এর মধ্যে যে একেবারে কোনো হেলদোল দেখা যেতো না তা এমন নয়। দুপুর হলে 'ক' হাঁপ ছেড়ে বাঁচতো কারণ 'গ' চলে যেতো আবার 'গ'-এর চঞ্চলরূপ দেখা যেতো যখন 'ক' রাত্রিবেলায় চলে যেতো। লজ্জার কারণে 'ক' চাইতো দিন বড়ো হোক আর স্পর্শ পাওয়ার জন্য 'গ' চাইতো রাত ছোটো হোক।
কিন্তু নিয়মের খাতিরে প্রয়োজন বিষয়টি একসময় ফুরিয়ে যায়। তাই এক দুপুরে 'ক' আর 'গ' নিজেদের দেখতে পায় দাঁড়িপাল্লার একদিকে দু-জনে বসে আছে। তারপর কিছু বোঝার আগেই চেনা বাড়ি ছেড়ে তাদের চলে যেতে হয়। এরপর একদিন তারা দেখতে পায় ফুটপাথে পাশাপাশি শুয়ে আছে। দেখে কত লোকের আনাগোনা হচ্ছে। একসময় একটি হাত 'ক'-কে আর অন্য একটি হাত 'গ'-কে নিয়ে চলে গেল। বিচ্ছেদ বিষয়টি যেন প্রকৃতির অধিকারের মধ্যে পড়ে! তাদের একসাথে থাকার সম্পর্কে ইতি পড়ে। জানে না আবার কোনোদিন তাদের দেখা হবে কিনা। হতেও পারে। হলে কী হবে! মিলনের ভাবনায় হয়ত বিচ্ছেদ মেনে নিতে হয়। '
'ক' ছিল একটি কবিতার বই যেখানে 'গ' ছিল একটি গল্পের বই!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন