পূরবী
অভিজিৎ চৌধুরী
(৬)
তিনি দেবতা নন,তাঁর কাছ থেকে পাওয়ার কোন আশা নেই।তিনি রুষ্ট হলেও তীর্থের কিছু যায় আসে না।
তবুও টেবিলের চা জুড়িয়ে গেলে বউ বলে,হলোটা কি! সত্যি কিছু হয় নি।রবীন্দ্রনাথ আসেন বললে ভুল বলা হয়।তিনি জমিদার ছিলেন নিজে,কাঙালের ঘরে আসবেন কেন তিনি!
এই অনন্ত মহামারীর সামনে দাঁড়িয়ে নদী শিলাবতীর রূপও প্রাণভরে গ্রহণ করে তীর্থ। এই সময়ে ফড়ে,দালালদের সংখ্যা বাড়ে কিন্তু করোনার মৃত্যুভয় তাকেও বোধহয় নশ্বরতার ভয় দেখাচ্ছে।মহৎ প্রয়াসের চর্চা হচ্ছে,এটা আশার কথা কিন্তু কিছু ছদ্মবেশও রয়েছে।
দিবাকর উঠল প্লাতা নদীর তীরে।খুব সকালে স্নান সেরেছে ওকাম্পোর। রবীন্দ্রনাথের ছেলেবেলা থেকে অভ্যাস ব্রাহ্ম মুহূর্তে স্নান।
আসে তাঁর সৃষ্টিপ্রবাহ আর দুঃখি রবীন্দ্রনাথ। সেখানে তিনি চিরসখা।
মোহনবাগান ভার্সেস স্পোর্টিং ইউনিয়ান।নবগ্রামের কালুদার পায়ে বল।দুরন্ত গতি।পেনাল্টি বক্স থেকে শট।বারে গিয়ে লাগল।হাততালি দিয়ে উঠল তীর্থ।সচকিত মোহনবাগান গ্যালারি।বাঁচালেন পাশের ভদ্রলোক।পাড়ার ছেলে,তাই না!
মা ডাকছে,উঠে পড় তীর্থ।স্কুল যেতে হবে তো!
ভালো ফুটবলারও তিনি পুব বাংলা কলকাতায় নিয়ে এসেছিলেন আর খেলতে পাঠিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে।যদিও নিজে নিশ্চয়ই মোহনবাগানি।এখানেও তিনি সমদর্শী। আশ্চর্য অনুভব।
মহর্ষি বললেন,নায়েবের কাজ থেকে কাজ শেখো।এই মাসে ১০০ টাকা তোমায় দিলাম।বউমাকে বাকী ১০০/
মা হেসে বললো,এনেছে।
মা বললো, তাই তো।তাই বলে আটটা বেজে গেছে,উঠবি না!
আজ তো রোববার মা।
তীর্থ তড়াক করে করে উঠল পড়ল।মা,বাবার মাংস আনার কথা।গতকাল মাইনে পেয়েছে বাবা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন