বিশ্বদুনিয়ার নতুন কবিতা
রুদ্র কিংশুক
ইভাঙ্কা মজিলস্কা-র কবিতা
ইভাঙ্কা মজিলস্কা (Ivanka Mogilska,1981)-র জন্ম বুলগেরিয়ার প্লভডিভ শহরে। কবিতা ও উপন্যাস লেখা ছাড়া, তিনি একজন ডিজিটাল আর্টিস্ট এবং সঙ্গীতজ্ঞ ।
এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে তাঁর চারটি চারটি গ্রন্থ ।দুটি কবিতা সংকলন এবং দুটি উপন্যাস। ইংরেজি, ফরাসি ও হাঙ্গেরিয়ান সহ পৃথিবীর অন্যান্য কয়েকটি ভাষায় অনূদিত হয়েছে তাঁর লেখা ।পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সাহিত্য তিনি বুলগেরিয়ান ভাষায় অনুবাদ করে থাকেন ।বর্তমানে এই লেখক থাকেন বুলগেরিয়ার সোফিয়া শহরে।
১. ছবি
কখনো কখনো সে বলে অবিশ্বাস্য সব গল্প
সে খায় দিনটাকে ছোট্ট ছোট্ট টুকরে
অন্ধকারে সে হাসে।
সবটাই তার সূর্যালোক
আর কয়েক টুকরো সাদা মেঘ ।
কখনো ইচ্ছে করে শুয়ে শুয়ে থাকে
প্রতিদিনের প্লেটের উপর ।
কোনোভাবেই সে গ্রাহ্য করে না ।
কোন শব্দ নেই ।
কোন গল্প নেই ।
তখন কোন অন্ধকারও না
হাসির
যোগ্য।
সে এতটাই উদাসীন ---
তাই তুমি ভাবো
ঝড়ের আগের নিস্তব্ধতা
অথবা তার চোখ ।
২. শোভাযাত্রা
সময়
যতটা তুমি নাও
সেটাই সময়
যা কেউ তাকে স্মরণ করতে নেয় ।
৩. আকাশ
সে চাই সেলাই-না-করা একটা আকাশ
খোলা প্রান্ত সহ
যাতে যখন সেটা খুলে যাবে
সে লাফিয়ে উঠতে পারবে
একটা সূতো ধরে
উঠে যাবে
একেবারে চূড়ায়।
৪. একটা দিন
একটা দিন গলে যায়
জলের গ্লাসে ভিটামিনের মতো
যা কেউ একজন ভুলে গেছে টেবিলের ওপর টেবিলের ওপর গেছে টেবিলের ওপর টেবিলের ওপর।
ফিসফিস শব্দ হয় ।
নীরব কুলকুচি।
শোনার মতো কেউ নেই আশে পাশে পাশে
তার তুচ্ছ নালিশ।
তাই সে শান্ত হয়ে পড়ে,
বুদবুদ ওঠে ,
তলানি পড়ে ।
সন্ধ্যেবেলা মালিকেরা বাড়ি ফিরে এসে
তাকে ঢেলে দেয় সিঙ্কের ভেতর।
রুদ্র কিংশুক
ইভাঙ্কা মজিলস্কা-র কবিতা
ইভাঙ্কা মজিলস্কা (Ivanka Mogilska,1981)-র জন্ম বুলগেরিয়ার প্লভডিভ শহরে। কবিতা ও উপন্যাস লেখা ছাড়া, তিনি একজন ডিজিটাল আর্টিস্ট এবং সঙ্গীতজ্ঞ ।
এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে তাঁর চারটি চারটি গ্রন্থ ।দুটি কবিতা সংকলন এবং দুটি উপন্যাস। ইংরেজি, ফরাসি ও হাঙ্গেরিয়ান সহ পৃথিবীর অন্যান্য কয়েকটি ভাষায় অনূদিত হয়েছে তাঁর লেখা ।পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সাহিত্য তিনি বুলগেরিয়ান ভাষায় অনুবাদ করে থাকেন ।বর্তমানে এই লেখক থাকেন বুলগেরিয়ার সোফিয়া শহরে।
১. ছবি
কখনো কখনো সে বলে অবিশ্বাস্য সব গল্প
সে খায় দিনটাকে ছোট্ট ছোট্ট টুকরে
অন্ধকারে সে হাসে।
সবটাই তার সূর্যালোক
আর কয়েক টুকরো সাদা মেঘ ।
কখনো ইচ্ছে করে শুয়ে শুয়ে থাকে
প্রতিদিনের প্লেটের উপর ।
কোনোভাবেই সে গ্রাহ্য করে না ।
কোন শব্দ নেই ।
কোন গল্প নেই ।
তখন কোন অন্ধকারও না
হাসির
যোগ্য।
সে এতটাই উদাসীন ---
তাই তুমি ভাবো
ঝড়ের আগের নিস্তব্ধতা
অথবা তার চোখ ।
২. শোভাযাত্রা
সময়
যতটা তুমি নাও
সেটাই সময়
যা কেউ তাকে স্মরণ করতে নেয় ।
৩. আকাশ
সে চাই সেলাই-না-করা একটা আকাশ
খোলা প্রান্ত সহ
যাতে যখন সেটা খুলে যাবে
সে লাফিয়ে উঠতে পারবে
একটা সূতো ধরে
উঠে যাবে
একেবারে চূড়ায়।
৪. একটা দিন
একটা দিন গলে যায়
জলের গ্লাসে ভিটামিনের মতো
যা কেউ একজন ভুলে গেছে টেবিলের ওপর টেবিলের ওপর গেছে টেবিলের ওপর টেবিলের ওপর।
ফিসফিস শব্দ হয় ।
নীরব কুলকুচি।
শোনার মতো কেউ নেই আশে পাশে পাশে
তার তুচ্ছ নালিশ।
তাই সে শান্ত হয়ে পড়ে,
বুদবুদ ওঠে ,
তলানি পড়ে ।
সন্ধ্যেবেলা মালিকেরা বাড়ি ফিরে এসে
তাকে ঢেলে দেয় সিঙ্কের ভেতর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন