জন্মদিন
জয়ন্তী মন্ডল
পার্ক স্ট্রিটের বাড়িতে সকাল থেকেই হই হই ব্যাপার। রবির জন্ম দিন। বেল ফুলের মালা বিছানার পাশে রাখা।
মেজ বৌঠান রবির ঘরে ঢুকে বলল শুভ জন্মদিন ঠাকুরপো।
ঠাকুরপো মুচকি হেসে বলল ধন্যবাদ।
আজ কিন্তু আমি নিজের হাতে পায়েস রান্না করে খাওয়াবো তোমায়।
মায়ের মতো হবে?
তাই হয় কি। মা তো মা। তাই না রবি।
হুঁ। আনমনা হয়ে বাইরের দিকে তাকায়।
সরলা এসো এসো।
বেল ফুলের মালা পায়ে দিয়ে প্রণাম করল মামাকে।
এত সকাল এলে কি করে। খুব ভোরে বেরিয়ে পড়েছ বুঝি।
আমার তো ভোরবেলা ওঠা অভ্যেস। ভোর ভোর উঠলে শরীর ভালো লাগে।
বেল ফুলের মালাটা দেখতে দেখতে চোখ চলে যায় বাইরে । কেউ কি বাইরে দাঁড়িয়ে।
দূর শুধুই কি দেখতে কি দেখি।
শুভ জন্মদিন।
নতুন দাদা যে। এসো এসো।
প্রণাম হই দাদা।
আজ কিন্তু আমরা খুব হই চই করব।
একগাল হাসে রবি। তোমার যা ইচ্ছে।
নতুন দাদা বেরিয়ে গেল।
বাইরে কে। চুড়ির আওয়াজ না!
শুভ জন্মদিন।
বিস্ফারিত চোখে তাকায় রবি! নতুন বৌঠান!
কাদম্বরী মুচকি হেসে বলে, আমার কথা মনেই নেই যে কারো।
ও কথা বলো না।
বকুল ফুলের মালা ! কোথায় পেলে?
জোড়াসাঁকোর বাগান থেকে।
নিজে গাঁথলে বুঝি?
হুঁ।
এত ফুল কুড়োলে কখন।
রাত থেকে উঠে। তোমার জন্মদিন যে। হাত দুটো দেখি।
রবি হাত দুটো বাড়িয়ে দিল।
কাদম্বরী রবির বাড়ানো দু হাতে বকুল ফুলের মালা খানা দিযে জল ভরা চোখে বলল, আজ আসি।
তাড়াতাড়ি কি যেন বলতে গেল রবি……
পঁচিশে বৈশাখ জোড়াসাঁকো প্রাঙ্গনে রবীন্দ্রনাথের মর্মর মূর্তির সামনে বসে অদিতির মুখে ওর স্বপ্নের কথা শুনতে শুনতে দুচোখ জলে ভরে গেল সুচরিতার। তারপর দুজনেই হাঁটু মুড়ে প্রণাম করল রবীন্দ্রনাথের মর্মর মূর্তিকে।
জয়ন্তী মন্ডল
পার্ক স্ট্রিটের বাড়িতে সকাল থেকেই হই হই ব্যাপার। রবির জন্ম দিন। বেল ফুলের মালা বিছানার পাশে রাখা।
মেজ বৌঠান রবির ঘরে ঢুকে বলল শুভ জন্মদিন ঠাকুরপো।
ঠাকুরপো মুচকি হেসে বলল ধন্যবাদ।
আজ কিন্তু আমি নিজের হাতে পায়েস রান্না করে খাওয়াবো তোমায়।
মায়ের মতো হবে?
তাই হয় কি। মা তো মা। তাই না রবি।
হুঁ। আনমনা হয়ে বাইরের দিকে তাকায়।
সরলা এসো এসো।
বেল ফুলের মালা পায়ে দিয়ে প্রণাম করল মামাকে।
এত সকাল এলে কি করে। খুব ভোরে বেরিয়ে পড়েছ বুঝি।
আমার তো ভোরবেলা ওঠা অভ্যেস। ভোর ভোর উঠলে শরীর ভালো লাগে।
বেল ফুলের মালাটা দেখতে দেখতে চোখ চলে যায় বাইরে । কেউ কি বাইরে দাঁড়িয়ে।
দূর শুধুই কি দেখতে কি দেখি।
শুভ জন্মদিন।
নতুন দাদা যে। এসো এসো।
প্রণাম হই দাদা।
আজ কিন্তু আমরা খুব হই চই করব।
একগাল হাসে রবি। তোমার যা ইচ্ছে।
নতুন দাদা বেরিয়ে গেল।
বাইরে কে। চুড়ির আওয়াজ না!
শুভ জন্মদিন।
বিস্ফারিত চোখে তাকায় রবি! নতুন বৌঠান!
কাদম্বরী মুচকি হেসে বলে, আমার কথা মনেই নেই যে কারো।
ও কথা বলো না।
বকুল ফুলের মালা ! কোথায় পেলে?
জোড়াসাঁকোর বাগান থেকে।
নিজে গাঁথলে বুঝি?
হুঁ।
এত ফুল কুড়োলে কখন।
রাত থেকে উঠে। তোমার জন্মদিন যে। হাত দুটো দেখি।
রবি হাত দুটো বাড়িয়ে দিল।
কাদম্বরী রবির বাড়ানো দু হাতে বকুল ফুলের মালা খানা দিযে জল ভরা চোখে বলল, আজ আসি।
তাড়াতাড়ি কি যেন বলতে গেল রবি……
পঁচিশে বৈশাখ জোড়াসাঁকো প্রাঙ্গনে রবীন্দ্রনাথের মর্মর মূর্তির সামনে বসে অদিতির মুখে ওর স্বপ্নের কথা শুনতে শুনতে দুচোখ জলে ভরে গেল সুচরিতার। তারপর দুজনেই হাঁটু মুড়ে প্রণাম করল রবীন্দ্রনাথের মর্মর মূর্তিকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন