বিশ্বদুনিয়ার নতুন কবিতা
রুদ্র কিংশুক
মারিন বোডাকভ- এর কবিতা
মারিন বোডাকভ- (Marin Bodakov, 1971)- বুলগেরিয়ার নয় দশকের বিশিষ্ট কবি । তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা সাতের অধিক। পৃথিবীর বিভিন্ন
ভাষায় অনূদিত হয়েছে তাঁর কবিতা । তিনি বুলগেরিয়ার প্রখ্যাত কুলতুরা পত্রিকার সম্পাদক এবং সোফিয়া ইউনিভার্সিটিতে সাংবাদিকতা বিষয়ে অধ্যাপনায় যুক্ত আছেন। তাঁর গবেষণার আগ্রহের বিষয় বুলগেরিয়ার সাহিত্য সমালোচনার ইতিহাস।তিনি বুলগেরিয়ার সরকারকে সংস্কৃতি বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকেন । তাঁর কবিতা সংক্ষিপ্ত, ঘন সন্নিবিষ্ট এবং বহুস্তরীয়।
১. ক্ষুধিত দুধ
প্রতিযোগিতা ঘোষণা না করেই
বিজয়ী ঘোষিত হয় ।
নির্মাণ উৎকর্ষ অবাস্তবিক,
বিচার-দক্ষতা অপ্রাসঙ্গিক:
শ্রেষ্ঠ সহায়ক ভূমিকা পুরস্কার
সর্বদাই মৃত্যুর কাছে যায় ।
অবশ্যই অন্য কারো।
২. সরল শিল্প
বৃত্তীয় নাচ
অসুস্থ আত্মীয়ের চারপাশে
পাথুরে নাচ ভারী, ভরাট চোয়ালে
(অন্যথায় একটি শিকার দৃশ্য )
তাকে মারো, আমার হৃদয় থেকে হারাবো অসংখ্য হৃদয়,
তাকে যেতে দাও, আমি শেষ পর্যন্ত স্বাধীন স্বাধীন হবো
৩. উড়োজাহাজ থেকে দেখা
আকাশকে দেখতে মস্তিষ্কের ভাজের মতো:
নীলের ধূসর এবং সবুজের ধূসর
এবং দুঃখের সমাধি দ্রুত সরে যায়
আমাকে জায়গা দিতে।
৪. কেবল নৈঃশব্দ্য কখনো বিশ্বাসঘাতকতা করবে না
যেমন ক্লান্ত প্রভু ছুটি দেয় না তার বুড়ো ভৃত্যকে
কেবল নৈঃশব্দ্য তোমাকে শেখাবে কীভাবে খোলা ঘরে ঘুমানো যায়
কোন কিছু আশংকা না করেই করেই আশংকা না করেই করেই না করেই।
৫. আমি স্বপ্ন দেখি আমি কম্বলে সমাধি ঢাকছি
আমার বাবার মৃত শরীরগুলো
কোনো দায়সারা কপি নয়, কেবল অরিজিনাল,
একই বৃদ্ধের অনেকগুলো শরীর
আমার বাড়ির সর্বত্র ছড়ানো,
মুখ নিচের দিকে
৬. সে লেখে
রোগাপটকা কবিতা।
শব্দের কাঁধের হাড়গুলো চামড়া ভেদ করে বেরোয়।
তারা তবুও তার স্তন পান করে
এবং মধুর পা ছোড়ে।
৭. আমি ফিরছি
আরো কম
এবং নিখুঁত ভাঁজকরা শব্দ নিয়ে
অতিরিক্ত লাগেজ ভাড়া আমি দিতে পারবো না
তাদের পরিচ্ছন্ন জামাকাপড় আমার জন্য বড্ড বড়ো--
যেন তারা কোন অপরিচিতের গায়ে।
রুদ্র কিংশুক
মারিন বোডাকভ- এর কবিতা
মারিন বোডাকভ- (Marin Bodakov, 1971)- বুলগেরিয়ার নয় দশকের বিশিষ্ট কবি । তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা সাতের অধিক। পৃথিবীর বিভিন্ন
ভাষায় অনূদিত হয়েছে তাঁর কবিতা । তিনি বুলগেরিয়ার প্রখ্যাত কুলতুরা পত্রিকার সম্পাদক এবং সোফিয়া ইউনিভার্সিটিতে সাংবাদিকতা বিষয়ে অধ্যাপনায় যুক্ত আছেন। তাঁর গবেষণার আগ্রহের বিষয় বুলগেরিয়ার সাহিত্য সমালোচনার ইতিহাস।তিনি বুলগেরিয়ার সরকারকে সংস্কৃতি বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকেন । তাঁর কবিতা সংক্ষিপ্ত, ঘন সন্নিবিষ্ট এবং বহুস্তরীয়।
১. ক্ষুধিত দুধ
প্রতিযোগিতা ঘোষণা না করেই
বিজয়ী ঘোষিত হয় ।
নির্মাণ উৎকর্ষ অবাস্তবিক,
বিচার-দক্ষতা অপ্রাসঙ্গিক:
শ্রেষ্ঠ সহায়ক ভূমিকা পুরস্কার
সর্বদাই মৃত্যুর কাছে যায় ।
অবশ্যই অন্য কারো।
২. সরল শিল্প
বৃত্তীয় নাচ
অসুস্থ আত্মীয়ের চারপাশে
পাথুরে নাচ ভারী, ভরাট চোয়ালে
(অন্যথায় একটি শিকার দৃশ্য )
তাকে মারো, আমার হৃদয় থেকে হারাবো অসংখ্য হৃদয়,
তাকে যেতে দাও, আমি শেষ পর্যন্ত স্বাধীন স্বাধীন হবো
৩. উড়োজাহাজ থেকে দেখা
আকাশকে দেখতে মস্তিষ্কের ভাজের মতো:
নীলের ধূসর এবং সবুজের ধূসর
এবং দুঃখের সমাধি দ্রুত সরে যায়
আমাকে জায়গা দিতে।
৪. কেবল নৈঃশব্দ্য কখনো বিশ্বাসঘাতকতা করবে না
যেমন ক্লান্ত প্রভু ছুটি দেয় না তার বুড়ো ভৃত্যকে
কেবল নৈঃশব্দ্য তোমাকে শেখাবে কীভাবে খোলা ঘরে ঘুমানো যায়
কোন কিছু আশংকা না করেই করেই আশংকা না করেই করেই না করেই।
৫. আমি স্বপ্ন দেখি আমি কম্বলে সমাধি ঢাকছি
আমার বাবার মৃত শরীরগুলো
কোনো দায়সারা কপি নয়, কেবল অরিজিনাল,
একই বৃদ্ধের অনেকগুলো শরীর
আমার বাড়ির সর্বত্র ছড়ানো,
মুখ নিচের দিকে
৬. সে লেখে
রোগাপটকা কবিতা।
শব্দের কাঁধের হাড়গুলো চামড়া ভেদ করে বেরোয়।
তারা তবুও তার স্তন পান করে
এবং মধুর পা ছোড়ে।
৭. আমি ফিরছি
আরো কম
এবং নিখুঁত ভাঁজকরা শব্দ নিয়ে
অতিরিক্ত লাগেজ ভাড়া আমি দিতে পারবো না
তাদের পরিচ্ছন্ন জামাকাপড় আমার জন্য বড্ড বড়ো--
যেন তারা কোন অপরিচিতের গায়ে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন