কিছু বই কিছু কথা ।। নীলাঞ্জন কুমার
জললিপি । কুমারেশ চক্রবর্তী । একুশ শতক।একশো টাকা।
অত্যন্ত সাদামাটার ভেতর দিয়ে প্রায় চোখে আঙুল দিয়ে কোন কবি আমাদের দেখায় বিশ্বের সমস্যা ও তার মতো করে সমাধানের ইঙ্গিত ছুঁড়ে দেন তখন সাবাসি তাঁকে দিতে হয় । কবি কুমারেশ চক্রবর্তীর ' জললিপি তাঁর সাম্প্রতিক কাব্যগ্রন্থ । 'কেন সে পন্ঞ্চায়েতের অফিসেও তার সততার / শংসাপত্র চেয়ে- / আজকাল দাঁড়িয়ে থাকে নীরব বিস্ময়ে !' কিংবা 'আত্মপক্ষ সমর্থনের চতুরতায়/ নিজেকেই রাজসাক্ষী করে দেয় -/ তার কোন পছন্দের আদালতে ...'-র মতো লাইন কবির ক্ষোভ ঠিকঠাক ধরিয়ে দেয়। কুমারেশের কবিতায় ব্যঙ্গাত্মক দিকটি অবশ্য প্রশংসনীয় ।তাঁর কবিতা সংযম হারায় না, যদিও অনেক সময় উচ্চগ্রামের কথা বলে বক্তব্যকে জোর দেন । 'বুথ দখলের পরেও তো কিছু লোক/ শীর্ণ মুঠোগুলো পাকিয়ে সোচ্চারে/ যেমন পুননির্বাচনের দাবি তোলে।' আমার কথাকে সমর্থন করবে ।
কুমারেশের কবিতার গতিধারা বলে দেয় তিনি স্বপ্ন দেখেন ক্ষুধা তৃষ্ণা হীন এক সমাজের ।তার সামনে দাঁড়িয়ে এদের জন্য কবিতা লেখার তাগিদ তাঁকে পেয়ে বসে ।সেখানে তিনি কবিতা ও বিবৃতির ভেদ করতে পারেন।
এ কবির কবিতা পড়তে হয় কারণ তাঁর কবিতার ভেতরে ভালো লাগা মিশে থাকে ।যা এখনকার মাথার ওপর দিয়ে চলে যাওয়া কবিতার কাছে পাওয়া যায় না।
কবি পূর্বনির্ধারিত কোন ধ্যান ধারণার সঙ্গে নিজেকে সঁপে দিতে নারাজ ।কবি ও চিত্রশিল্পী শ্যামল জানার প্রচ্ছদ দাগ কাটে ।
জললিপি । কুমারেশ চক্রবর্তী । একুশ শতক।একশো টাকা।
অত্যন্ত সাদামাটার ভেতর দিয়ে প্রায় চোখে আঙুল দিয়ে কোন কবি আমাদের দেখায় বিশ্বের সমস্যা ও তার মতো করে সমাধানের ইঙ্গিত ছুঁড়ে দেন তখন সাবাসি তাঁকে দিতে হয় । কবি কুমারেশ চক্রবর্তীর ' জললিপি তাঁর সাম্প্রতিক কাব্যগ্রন্থ । 'কেন সে পন্ঞ্চায়েতের অফিসেও তার সততার / শংসাপত্র চেয়ে- / আজকাল দাঁড়িয়ে থাকে নীরব বিস্ময়ে !' কিংবা 'আত্মপক্ষ সমর্থনের চতুরতায়/ নিজেকেই রাজসাক্ষী করে দেয় -/ তার কোন পছন্দের আদালতে ...'-র মতো লাইন কবির ক্ষোভ ঠিকঠাক ধরিয়ে দেয়। কুমারেশের কবিতায় ব্যঙ্গাত্মক দিকটি অবশ্য প্রশংসনীয় ।তাঁর কবিতা সংযম হারায় না, যদিও অনেক সময় উচ্চগ্রামের কথা বলে বক্তব্যকে জোর দেন । 'বুথ দখলের পরেও তো কিছু লোক/ শীর্ণ মুঠোগুলো পাকিয়ে সোচ্চারে/ যেমন পুননির্বাচনের দাবি তোলে।' আমার কথাকে সমর্থন করবে ।
কুমারেশের কবিতার গতিধারা বলে দেয় তিনি স্বপ্ন দেখেন ক্ষুধা তৃষ্ণা হীন এক সমাজের ।তার সামনে দাঁড়িয়ে এদের জন্য কবিতা লেখার তাগিদ তাঁকে পেয়ে বসে ।সেখানে তিনি কবিতা ও বিবৃতির ভেদ করতে পারেন।
এ কবির কবিতা পড়তে হয় কারণ তাঁর কবিতার ভেতরে ভালো লাগা মিশে থাকে ।যা এখনকার মাথার ওপর দিয়ে চলে যাওয়া কবিতার কাছে পাওয়া যায় না।
কবি পূর্বনির্ধারিত কোন ধ্যান ধারণার সঙ্গে নিজেকে সঁপে দিতে নারাজ ।কবি ও চিত্রশিল্পী শ্যামল জানার প্রচ্ছদ দাগ কাটে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন