কিছু বই কিছু কথা । নীলাঞ্জন কুমার
আটপৌরে কবিতা । সম্পাদনা- সৌমিত্র রায় । আই- সোসাইটি । একশো টাকা ।
দেড় হাজারের অধিক বছরের জাপানের জেন কবিতা, হাইকু , ইতলির প্রেত্রার্কেক যুগের সনেট, ফ্রান্সের
ট্রিওলেট ইত্যাদির পর কিছু কিছু কবিতার গঠনগত ধারা গড়ে উঠেছে যেমন আজকের এক তরুণতম ধারাটি হল 'আটপৌরে কবিতা '। কবি সৌমিত্র রায় সৃষ্ট এই কাব্য গঠন ক্ষেত্রে স্রষ্টার যুক্তি: ' আটপৌরে গ্রাম বাংলার জনপ্রিয় একটি শব্দ । ' অষ্টপ্রহর 'বা ২৪ ঘন্টা যা ব্যবহার করা হয় এমন একটা বিষয় । 'আটপৌরে কবিতা ' হল সাদামাটা কিছু কথার কবিতায় প্রক্রিয়া করণ। তিন লাইনে মোট শব্দ সংখ্যা ৮টি। প্রথমে তিনটি শব্দ । তারপরের লাইনে একটি শব্দ ।শেষ লাইনে চারটি শব্দ। '.....
প্রত্যেক কাব্য ধারার গঠননিয়ে যাঁরা চর্চা করেন তারা খুঁজে পান এর ভেতরের মজাটুকু । সে মজা আছে বলে হাইকুর মতো কবিতা আজও সজীব । আটপৌরে কবিতায় আছে অতি সাধারণ থেকে শুরু করে অতি জটিলে পৌছোবার তাগিদ । প্রকৃত পাঠকের কাছে ওই আটটি শব্দের মধ্যে যে চাবি থাকে তা জটিলতার সমাধান করে । যিনি এই চাবিগুলি সাজাতে পারেন তিনি হয়ে ওঠেন প্রকৃত আটপৌরে কবিতার স্রষ্টা।
দেখলে মনে হবে আটপৌরে কবিতা লেখা খুব সহজ , কিন্তু যাঁরা এ নিয়ে চর্চা করেন তাঁরা বোঝেন তা কতটা কঠিন । এই কঠিন কাজটি অনেকটা কলম্বাসের ডিম দাঁড় করানোর গল্পের মতো , যে পারে সে পারে। আটপৌরে কবিতার তৃতীয় লাইনে যে দর্শন ছড়িয়ে ছড়িয়ে দেওয়ার রীতি আছে তা বিবিধ শব্দের ভেতর দিয়ে গড়ে ওঠার ক্রিয়া কৌশল রক্তের ভিতরে সন্ঞ্চারিত হয় । যা প্রকৃত পাঠকের কাছে দুর্লভ ।
সে কারণে সৌমিত্র রায় যখন লেখেন: ' মেঘ । পাখি । পতঙ্গ ।/[কবিমন] / যে যার উচ্চতায় ওড়ে ।' ; প্রসাদ রায় লেখেন:' হ্ঋদয় । সমুদ্র ।পাতাল/<আকাশ> /সীমা থেকে চিন্হ মুছে যায় ' অলোক বিশ্বাস
লেখেন: ' কুটিরে জল থাকে/ নীরবে/ বাহিরে তার বিদেহী সিম্ফনি.....'-র মতো আটপৌরে কবিতা,যা আমাদের বড় প্রাপ্তি হয়ে যায় । এই কবিতার জন্য আবৃত্তির প্রয়োজন নেই , আছে অন্তহীন পাঠ, ভেতরে ।
সংকলনটির প্রচার প্রয়োজন ।
আটপৌরে কবিতা । সম্পাদনা- সৌমিত্র রায় । আই- সোসাইটি । একশো টাকা ।
দেড় হাজারের অধিক বছরের জাপানের জেন কবিতা, হাইকু , ইতলির প্রেত্রার্কেক যুগের সনেট, ফ্রান্সের
ট্রিওলেট ইত্যাদির পর কিছু কিছু কবিতার গঠনগত ধারা গড়ে উঠেছে যেমন আজকের এক তরুণতম ধারাটি হল 'আটপৌরে কবিতা '। কবি সৌমিত্র রায় সৃষ্ট এই কাব্য গঠন ক্ষেত্রে স্রষ্টার যুক্তি: ' আটপৌরে গ্রাম বাংলার জনপ্রিয় একটি শব্দ । ' অষ্টপ্রহর 'বা ২৪ ঘন্টা যা ব্যবহার করা হয় এমন একটা বিষয় । 'আটপৌরে কবিতা ' হল সাদামাটা কিছু কথার কবিতায় প্রক্রিয়া করণ। তিন লাইনে মোট শব্দ সংখ্যা ৮টি। প্রথমে তিনটি শব্দ । তারপরের লাইনে একটি শব্দ ।শেষ লাইনে চারটি শব্দ। '.....
প্রত্যেক কাব্য ধারার গঠননিয়ে যাঁরা চর্চা করেন তারা খুঁজে পান এর ভেতরের মজাটুকু । সে মজা আছে বলে হাইকুর মতো কবিতা আজও সজীব । আটপৌরে কবিতায় আছে অতি সাধারণ থেকে শুরু করে অতি জটিলে পৌছোবার তাগিদ । প্রকৃত পাঠকের কাছে ওই আটটি শব্দের মধ্যে যে চাবি থাকে তা জটিলতার সমাধান করে । যিনি এই চাবিগুলি সাজাতে পারেন তিনি হয়ে ওঠেন প্রকৃত আটপৌরে কবিতার স্রষ্টা।
দেখলে মনে হবে আটপৌরে কবিতা লেখা খুব সহজ , কিন্তু যাঁরা এ নিয়ে চর্চা করেন তাঁরা বোঝেন তা কতটা কঠিন । এই কঠিন কাজটি অনেকটা কলম্বাসের ডিম দাঁড় করানোর গল্পের মতো , যে পারে সে পারে। আটপৌরে কবিতার তৃতীয় লাইনে যে দর্শন ছড়িয়ে ছড়িয়ে দেওয়ার রীতি আছে তা বিবিধ শব্দের ভেতর দিয়ে গড়ে ওঠার ক্রিয়া কৌশল রক্তের ভিতরে সন্ঞ্চারিত হয় । যা প্রকৃত পাঠকের কাছে দুর্লভ ।
সে কারণে সৌমিত্র রায় যখন লেখেন: ' মেঘ । পাখি । পতঙ্গ ।/[কবিমন] / যে যার উচ্চতায় ওড়ে ।' ; প্রসাদ রায় লেখেন:' হ্ঋদয় । সমুদ্র ।পাতাল/<আকাশ> /সীমা থেকে চিন্হ মুছে যায় ' অলোক বিশ্বাস
লেখেন: ' কুটিরে জল থাকে/ নীরবে/ বাহিরে তার বিদেহী সিম্ফনি.....'-র মতো আটপৌরে কবিতা,যা আমাদের বড় প্রাপ্তি হয়ে যায় । এই কবিতার জন্য আবৃত্তির প্রয়োজন নেই , আছে অন্তহীন পাঠ, ভেতরে ।
সংকলনটির প্রচার প্রয়োজন ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন