সৌমিত্র রায়- এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
২০.
আগে কবিতাপাক্ষিক পরে প্রভাত চৌধুরী, এ হেন ভাবনার কারণ কী ছিল জানি না। তবে অনুমান করতে পারি আগে আশ্রম বা বাসস্থান নির্মাণ , পরে বসবাস।
কবিতাপাক্ষিকের প্রথম শ্লোগান ছিল :
কবিতাচর্চার নিজবাসভূমি।
তাহলে বাসভূমি এবং বাসস্থান , দুটি বসবাসের জায়গা মিলে যাচ্ছে।
একটা গ্রামীণ কথা আছে :
আগে বাস পরে চাষ।
বা আগে পশুপালন পরে কৃষিকাজ।
যেভাবেই দেখি না কেন , বাসস্থান তার নিজের অবস্থানে স্থির থাকছে।
আমি একটা বিষয় বুঝে গিয়েছিলাম আমার মূল অঞ্চল বা টার্গেট জোন হল মফস্ সল বাংলা। যেখানে কবিতাচর্চা-র সঠিক প্রতিফলন কলকাতায় ধরা পড়ে না। তারা কিছুটা আড়ালে থেকে যান। তাদের কাছে একটা প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠুক কবিতাপাক্ষিক।
সেসময় কবিতার কোনো নিয়মিত পত্রিকা ছিল না। কবিতাপাক্ষিক সেই সুযোগটা পুরোমাত্রায় গ্রহণ করেছিল।
এসব সম্ভবত আমার কমিউনিস্ট পার্টির সান্নিধ্য লাভের প্রতিক্রিয়া। গণসংগঠনের কাজে জেলায়- জেলায় সাংগঠনিক সভা করার কিছুটা অভিজ্ঞতা ছিল। রুহিদাস সাহারায় যখন পার্টি-কোর্স করতে বার্লিন গেল , তখন রুহিদাসের অনেক কাজের দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছিল। আর সেকারণেই জেলা সফর।
আমার সফর-সূচির অংশ :
তৃতীয় সংখ্যার আনুষ্ঠানিক প্রকাশ : বাঁকুড়া।
চতুর্থ সংখ্যার আনুষ্ঠানিক প্রকাশ : বারুইপুর।
পঞ্চমটি ছিল বর্ধমানে।
এটুকুতেই বোঝা যাচ্ছে আমার কর্মপদ্ধতির রূপরেখা।
এই প্রসঙ্গে আমার দুটি অজ্ঞতার কথা জানাচ্ছি।
১. বাঁকুড়ার অনুষ্ঠানটি হয়েছিল ডি ও সি-তে। সরকারি সংস্থার ক্লাবঘরে। আমরা কাদাকুলি থেকে বাসে উঠেছিলাম। ওই বাসেই বেলেতোড় থেকে অনেকেই। সোনামুখী থেকেও ওই বাসেই কবিদের আসার কথা। আমি ভেবেছিলাম বাসযাত্রী সকলেই হয়ত কবিতাপাক্ষিকের অনুষ্ঠানে যাচ্ছে। কারণ মাথা থেকে তখনো পার্টি মিটিং-এর স্মৃতি উড়ে যায়নি।সেঁটে বসেছিল।
২. কবিতাপাক্ষিক পঞ্চম সংখ্যার প্রকাশ থেকে শিক্ষাগ্রহণ করেছিলাম , শ্যামলবরণ সাহা-র মতো সাংগঠনিক দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এখন যাঁরা বড়ো বড়ো কবিতার অনুষ্ঠান করেন ,তাঁরা কল্পনাও করতে পারবেন না 1993 সালের 18 জুলাই আমরা কী মাপের অনুষ্ঠান করেছিলাম।
সেই খবর আগামীকাল।
প্রভাত চৌধুরী
২০.
আগে কবিতাপাক্ষিক পরে প্রভাত চৌধুরী, এ হেন ভাবনার কারণ কী ছিল জানি না। তবে অনুমান করতে পারি আগে আশ্রম বা বাসস্থান নির্মাণ , পরে বসবাস।
কবিতাপাক্ষিকের প্রথম শ্লোগান ছিল :
কবিতাচর্চার নিজবাসভূমি।
তাহলে বাসভূমি এবং বাসস্থান , দুটি বসবাসের জায়গা মিলে যাচ্ছে।
একটা গ্রামীণ কথা আছে :
আগে বাস পরে চাষ।
বা আগে পশুপালন পরে কৃষিকাজ।
যেভাবেই দেখি না কেন , বাসস্থান তার নিজের অবস্থানে স্থির থাকছে।
আমি একটা বিষয় বুঝে গিয়েছিলাম আমার মূল অঞ্চল বা টার্গেট জোন হল মফস্ সল বাংলা। যেখানে কবিতাচর্চা-র সঠিক প্রতিফলন কলকাতায় ধরা পড়ে না। তারা কিছুটা আড়ালে থেকে যান। তাদের কাছে একটা প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠুক কবিতাপাক্ষিক।
সেসময় কবিতার কোনো নিয়মিত পত্রিকা ছিল না। কবিতাপাক্ষিক সেই সুযোগটা পুরোমাত্রায় গ্রহণ করেছিল।
এসব সম্ভবত আমার কমিউনিস্ট পার্টির সান্নিধ্য লাভের প্রতিক্রিয়া। গণসংগঠনের কাজে জেলায়- জেলায় সাংগঠনিক সভা করার কিছুটা অভিজ্ঞতা ছিল। রুহিদাস সাহারায় যখন পার্টি-কোর্স করতে বার্লিন গেল , তখন রুহিদাসের অনেক কাজের দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছিল। আর সেকারণেই জেলা সফর।
আমার সফর-সূচির অংশ :
তৃতীয় সংখ্যার আনুষ্ঠানিক প্রকাশ : বাঁকুড়া।
চতুর্থ সংখ্যার আনুষ্ঠানিক প্রকাশ : বারুইপুর।
পঞ্চমটি ছিল বর্ধমানে।
এটুকুতেই বোঝা যাচ্ছে আমার কর্মপদ্ধতির রূপরেখা।
এই প্রসঙ্গে আমার দুটি অজ্ঞতার কথা জানাচ্ছি।
১. বাঁকুড়ার অনুষ্ঠানটি হয়েছিল ডি ও সি-তে। সরকারি সংস্থার ক্লাবঘরে। আমরা কাদাকুলি থেকে বাসে উঠেছিলাম। ওই বাসেই বেলেতোড় থেকে অনেকেই। সোনামুখী থেকেও ওই বাসেই কবিদের আসার কথা। আমি ভেবেছিলাম বাসযাত্রী সকলেই হয়ত কবিতাপাক্ষিকের অনুষ্ঠানে যাচ্ছে। কারণ মাথা থেকে তখনো পার্টি মিটিং-এর স্মৃতি উড়ে যায়নি।সেঁটে বসেছিল।
২. কবিতাপাক্ষিক পঞ্চম সংখ্যার প্রকাশ থেকে শিক্ষাগ্রহণ করেছিলাম , শ্যামলবরণ সাহা-র মতো সাংগঠনিক দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এখন যাঁরা বড়ো বড়ো কবিতার অনুষ্ঠান করেন ,তাঁরা কল্পনাও করতে পারবেন না 1993 সালের 18 জুলাই আমরা কী মাপের অনুষ্ঠান করেছিলাম।
সেই খবর আগামীকাল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন