সৌমিত্র রায়-এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
২৬.
আগের অধ্যায়ে , লেখার নয় , ব্যক্তিগত সাঁতার প্রতিযোগিতায় ২২/ বি , প্রতাপাদিত্য রোডের সঙ্গে যুক্ত ছিল ৩৬ / ডি , হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের ঠিকানাটি , কবিতাপাক্ষিক পর্বে ঠিক এই সমীকরণেই ৩৬ ডি-র সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেল ২/১ এ, বেকার রোড।তরুণ কবি কানাইলাল জানা-র বাড়ি বা আবাসন। কানাইলাল কারা-বিভাগের মাঝারি আধিকারিক। সেই সুবাদে জেলের আবাসনে থাকার অধিকার পেয়েছিল। আয়তনে বেশ বড়ো। ইংরেজ আমলের স্থাপত্য। আর কানাই-এর পরিচর্যায় বিভিন্ন ফুলের গাছ। আমার খুব পছন্দ হয়ে গেল। এখানেই কবিতাপাঠের আসর হতে পারে। কানাইও রাজি হয়ে গেল।আমরা তো রাজি ছিলামই।
তখনো কিন্তু নাসের হোসেন নামটি কবিতাপাক্ষিক সম্পাদকমণ্ডলীতে যুক্ত হয়নি। অথচ ইতিমধ্যেই নাসের তার ভূমিকা পালন করতে শুরু করে দিয়েছে।
এবার একটা ছক কেটে নিচ্ছি।
২৫ মে , ১৯৯৪ ॥ কবিতাপাঠ : সঞ্চয়িতা কুণ্ডু ।
২৬ জুন , ১৯৯৪ ॥ কবিতাপাঠ:রফিক উল ইসলাম
চৈতালী চট্টোপাধ্যায়
ওই সময় এ রকম একক কবিতাপাঠের আয়োজন করার কথা ভাবাও যেত না। কিন্তু আমরা ভেবেছিলাম এবং করেও দেখিয়েছিলাম।
কিছু প্রাসঙ্গিক কথা। আমন্ত্রণ- পত্র লিখে ফেলল নাসের হোসেন। তার ওপর অলংকরণ করা হল। তখন অলিতে- গলিতে এত জেরক্স অফসেট ছিল না। টেরিটিবাজারের একটা জায়গায় ছাপা হত। আমরাও পৌঁছে গেলাম জেরক্স অফসেটে। এই ফরম্যাটও আমরা নিয়ে এসেছিলাম কবিতার বাসভূমিতে।
এবার ৩৬ ডি , হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট থেকে অঘোষিত মিছিল করে যেতাম ২/১ এ, বেকার রোডে। সে এক অভিনব মিছিল ! প্রায় সকলের হাতে তালাই -মাদুর - অল্পসল্প টিফিন।আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের খাড়া দেওয়ালের পাশ দিয়ে আমাদের কবিতাযাত্রা। আজ মনে পড়ে গেলে অবাক হয়ে যাই।
আর সকাল থেকে কানাইলাল জানা-র পরিশ্রমে তখন ঝকঝক করছে ছাদ এবং ঘর। এই নিষ্ঠার কথা ভুলে গেলে রবীন্দ্রনাথ আমায় ক্ষমা করবেন না।
প্রথম দিন কবিতা পড়েছিল সঞ্চয়িতা কুণ্ডু।আর ওর পঠিত কবিতার ওপর আলোচনা করেছিলেন আলোক সরকার রবীন্দু বিশ্বাস কালীকৃষ্ণ গুহ অনন্ত দাশ প্রমুখ অগ্রজ এবং বিশিষ্ট কবিরা।
বাংলাকবিতার ইতিহাসে এই ঘটনা বিরল। আমরা এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে চলেছি এটি ঘোষণা করলাম। নতুন দৃষ্টিভঙ্গির শুরু করলাম --- এটা ঢোলশোহরত করেদিলাম। এটা শুনতে পেলেন অনেকেই। আর বধিররা যে কোনো কিছুই শুনতে পান না , এটা আর নতুন করে বললাম না।
আগামীকাল আসুক।
প্রভাত চৌধুরী
২৬.
আগের অধ্যায়ে , লেখার নয় , ব্যক্তিগত সাঁতার প্রতিযোগিতায় ২২/ বি , প্রতাপাদিত্য রোডের সঙ্গে যুক্ত ছিল ৩৬ / ডি , হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের ঠিকানাটি , কবিতাপাক্ষিক পর্বে ঠিক এই সমীকরণেই ৩৬ ডি-র সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেল ২/১ এ, বেকার রোড।তরুণ কবি কানাইলাল জানা-র বাড়ি বা আবাসন। কানাইলাল কারা-বিভাগের মাঝারি আধিকারিক। সেই সুবাদে জেলের আবাসনে থাকার অধিকার পেয়েছিল। আয়তনে বেশ বড়ো। ইংরেজ আমলের স্থাপত্য। আর কানাই-এর পরিচর্যায় বিভিন্ন ফুলের গাছ। আমার খুব পছন্দ হয়ে গেল। এখানেই কবিতাপাঠের আসর হতে পারে। কানাইও রাজি হয়ে গেল।আমরা তো রাজি ছিলামই।
তখনো কিন্তু নাসের হোসেন নামটি কবিতাপাক্ষিক সম্পাদকমণ্ডলীতে যুক্ত হয়নি। অথচ ইতিমধ্যেই নাসের তার ভূমিকা পালন করতে শুরু করে দিয়েছে।
এবার একটা ছক কেটে নিচ্ছি।
২৫ মে , ১৯৯৪ ॥ কবিতাপাঠ : সঞ্চয়িতা কুণ্ডু ।
২৬ জুন , ১৯৯৪ ॥ কবিতাপাঠ:রফিক উল ইসলাম
চৈতালী চট্টোপাধ্যায়
ওই সময় এ রকম একক কবিতাপাঠের আয়োজন করার কথা ভাবাও যেত না। কিন্তু আমরা ভেবেছিলাম এবং করেও দেখিয়েছিলাম।
কিছু প্রাসঙ্গিক কথা। আমন্ত্রণ- পত্র লিখে ফেলল নাসের হোসেন। তার ওপর অলংকরণ করা হল। তখন অলিতে- গলিতে এত জেরক্স অফসেট ছিল না। টেরিটিবাজারের একটা জায়গায় ছাপা হত। আমরাও পৌঁছে গেলাম জেরক্স অফসেটে। এই ফরম্যাটও আমরা নিয়ে এসেছিলাম কবিতার বাসভূমিতে।
এবার ৩৬ ডি , হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট থেকে অঘোষিত মিছিল করে যেতাম ২/১ এ, বেকার রোডে। সে এক অভিনব মিছিল ! প্রায় সকলের হাতে তালাই -মাদুর - অল্পসল্প টিফিন।আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের খাড়া দেওয়ালের পাশ দিয়ে আমাদের কবিতাযাত্রা। আজ মনে পড়ে গেলে অবাক হয়ে যাই।
আর সকাল থেকে কানাইলাল জানা-র পরিশ্রমে তখন ঝকঝক করছে ছাদ এবং ঘর। এই নিষ্ঠার কথা ভুলে গেলে রবীন্দ্রনাথ আমায় ক্ষমা করবেন না।
প্রথম দিন কবিতা পড়েছিল সঞ্চয়িতা কুণ্ডু।আর ওর পঠিত কবিতার ওপর আলোচনা করেছিলেন আলোক সরকার রবীন্দু বিশ্বাস কালীকৃষ্ণ গুহ অনন্ত দাশ প্রমুখ অগ্রজ এবং বিশিষ্ট কবিরা।
বাংলাকবিতার ইতিহাসে এই ঘটনা বিরল। আমরা এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে চলেছি এটি ঘোষণা করলাম। নতুন দৃষ্টিভঙ্গির শুরু করলাম --- এটা ঢোলশোহরত করেদিলাম। এটা শুনতে পেলেন অনেকেই। আর বধিররা যে কোনো কিছুই শুনতে পান না , এটা আর নতুন করে বললাম না।
আগামীকাল আসুক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন