সৌমিত্র রায়- এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
২৩.
এরপর তো রজত- শান্তনুর কথা বলতেই হবে।এক সঙ্গে দুটি নাম। আমি দীর্ঘ প্রায় ত্রিশ বছর বলে এসেছি রজত- শান্তনু।
দুটি নামকে আলাদা করে লিখলে লিখতে হয় :
রজত = রজতেন্দ্র মুখোপাধ্যায় ।
শান্তনু = শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়।
রজত আমার ছেলে রাজা বা গৌরবের সহপাঠী। মিত্র স্কুলে ক্লাস ওয়ান থেকে একসঙ্গে।
আর শান্তনু -কে পেয়েছিলাম কিছুদিন পর। সম্ভবত জহর সেনমজুমদার সূত্রে।
তাহলে তো আগে জহরের কথা বলতে হয়। কবিতাপাক্ষিক প্রকাশের কিছুদিনের মধ্যেই একটা খাম এসেছিল ডাকবাক্সে। খামে ছিল একগুচ্ছ কবিতা , জহর সেনমজুমদারের। পরে এক রবিবার বিকেলে সশরীরে জহর। তখন রবিবারগুলো জমাট বাঁধতে শুরু করেছে। সকাল থেকে সন্ধে কবিজনদের আনাগোনা বেড়েই চলেছে।
এই জহর সূত্রে শান্তনু একা ছিল না। শান্তনুর সঙ্গে ছিল আর এক শান্তনু।শান্তনু কুণ্ডু এবং সৌগত রায়। জহরের প্যাঁচা সিরিজের পাঁচটি কবিতা প্রকাশিত হয় কবিতাপাক্ষিক ১৫ -তে। তারিখ :11 ডিসেম্বর1993।ওই সংখ্যাতে এই পক্ষের কবি : পুণ্যশ্লোক দাশগুপ্ত রজতেন্দ্র মুখোপাধ্যায় এবং জহর সেনমজুমদার।
বলছিলাম রজত-শান্তনুর কথা।রজত তখন কলেজছাত্র। আর শান্তনু -র কাজ ছাত্র-পড়ানো, চাকরি থেকে দুজনেই বেশ কিছুটা দূরে।তাতে কিছুই এসে যায়নি রজত-শান্তনুর। এই দুজনই তখন কবিতাপাক্ষিকের অল ইন অল। এদের নির্দেশেই কবিতাপাক্ষিকের যাবতীয় চলাচল।
রেকর্ডে দেখতে পাচ্ছি কবিতাপাক্ষিক ৩৮ -এ যুক্ত হল জহর সেন মজুমদারের নাম। লক্ষ রাখবেন তখনো কিন্তু নাসের হোসেন-এর নাম যুক্ত হয়নি সম্পাদকমণ্ডলীতে। নাসের নিজ ইচ্ছায় সম্পাদকমণ্ডলীতে আসেনি। কী কারণ , তা আমার জানার কথা নয়।
কবিতাপাক্ষিক ৪৪-এ সম্পাদকমণ্ডলীতে যুক্ত হয়েছিল শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়-এর নাম।
মাননীয় পাঠক , আমি দুটি তারিখ ক্যালেন্ডার থেকে তুলে আনছি। একটি বাংলা, অপরটি ইংরেজি। অর্থাৎ একটি বঙ্গাব্দের অন্যটি খ্রিস্টাব্দের।
২৪ এপ্রিল ১৯৯৪ । আদ্রার কমিউনিটি হলে কবিতাপাক্ষিক-এর প্রথম বর্ষ পূর্তি উৎসব।
দ্বিতীয়টি ২৪ বৈশাখ ১৪০১।কলকাতা প্রেস ক্লাবে কবিতপাক্ষিক গ্রন্থমালা সিরিজের দশটি কবিতার বই প্রকাশ।
ওইটিই ছিল প্রকাশনার সূচনা। যাদের বই প্রকাশিত হয়েছিল সেই নামগুলি দেখে নেওয়া যাক।
কাননকুমার ভৌমিক ,রবীন্দু বিশ্বা
স ,সমীরণ মজুমদার ,রাজকল্যাণ চেল ,নাসের হোসেন , জহর সেনমজুদার ,খোকন বসু ,অরূপ আচার্য ,সুমিতেশ সরকার এবং সদ্য প্রয়াত কবি প্রদীপেন্দু মৈত্র-র নতুন কবিতার বই।
কবিতাপাক্ষিক পত্রিকার পাশাপাশি প্রকাশনাতে প্রবেশ করার তারিখটি ইতিহাসে লেখা আছে।
সেই ইতিহাসকথা আগামীকাল।দুই ২৪ কথা।
প্রভাত চৌধুরী
২৩.
এরপর তো রজত- শান্তনুর কথা বলতেই হবে।এক সঙ্গে দুটি নাম। আমি দীর্ঘ প্রায় ত্রিশ বছর বলে এসেছি রজত- শান্তনু।
দুটি নামকে আলাদা করে লিখলে লিখতে হয় :
রজত = রজতেন্দ্র মুখোপাধ্যায় ।
শান্তনু = শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়।
রজত আমার ছেলে রাজা বা গৌরবের সহপাঠী। মিত্র স্কুলে ক্লাস ওয়ান থেকে একসঙ্গে।
আর শান্তনু -কে পেয়েছিলাম কিছুদিন পর। সম্ভবত জহর সেনমজুমদার সূত্রে।
তাহলে তো আগে জহরের কথা বলতে হয়। কবিতাপাক্ষিক প্রকাশের কিছুদিনের মধ্যেই একটা খাম এসেছিল ডাকবাক্সে। খামে ছিল একগুচ্ছ কবিতা , জহর সেনমজুমদারের। পরে এক রবিবার বিকেলে সশরীরে জহর। তখন রবিবারগুলো জমাট বাঁধতে শুরু করেছে। সকাল থেকে সন্ধে কবিজনদের আনাগোনা বেড়েই চলেছে।
এই জহর সূত্রে শান্তনু একা ছিল না। শান্তনুর সঙ্গে ছিল আর এক শান্তনু।শান্তনু কুণ্ডু এবং সৌগত রায়। জহরের প্যাঁচা সিরিজের পাঁচটি কবিতা প্রকাশিত হয় কবিতাপাক্ষিক ১৫ -তে। তারিখ :11 ডিসেম্বর1993।ওই সংখ্যাতে এই পক্ষের কবি : পুণ্যশ্লোক দাশগুপ্ত রজতেন্দ্র মুখোপাধ্যায় এবং জহর সেনমজুমদার।
বলছিলাম রজত-শান্তনুর কথা।রজত তখন কলেজছাত্র। আর শান্তনু -র কাজ ছাত্র-পড়ানো, চাকরি থেকে দুজনেই বেশ কিছুটা দূরে।তাতে কিছুই এসে যায়নি রজত-শান্তনুর। এই দুজনই তখন কবিতাপাক্ষিকের অল ইন অল। এদের নির্দেশেই কবিতাপাক্ষিকের যাবতীয় চলাচল।
রেকর্ডে দেখতে পাচ্ছি কবিতাপাক্ষিক ৩৮ -এ যুক্ত হল জহর সেন মজুমদারের নাম। লক্ষ রাখবেন তখনো কিন্তু নাসের হোসেন-এর নাম যুক্ত হয়নি সম্পাদকমণ্ডলীতে। নাসের নিজ ইচ্ছায় সম্পাদকমণ্ডলীতে আসেনি। কী কারণ , তা আমার জানার কথা নয়।
কবিতাপাক্ষিক ৪৪-এ সম্পাদকমণ্ডলীতে যুক্ত হয়েছিল শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়-এর নাম।
মাননীয় পাঠক , আমি দুটি তারিখ ক্যালেন্ডার থেকে তুলে আনছি। একটি বাংলা, অপরটি ইংরেজি। অর্থাৎ একটি বঙ্গাব্দের অন্যটি খ্রিস্টাব্দের।
২৪ এপ্রিল ১৯৯৪ । আদ্রার কমিউনিটি হলে কবিতাপাক্ষিক-এর প্রথম বর্ষ পূর্তি উৎসব।
দ্বিতীয়টি ২৪ বৈশাখ ১৪০১।কলকাতা প্রেস ক্লাবে কবিতপাক্ষিক গ্রন্থমালা সিরিজের দশটি কবিতার বই প্রকাশ।
ওইটিই ছিল প্রকাশনার সূচনা। যাদের বই প্রকাশিত হয়েছিল সেই নামগুলি দেখে নেওয়া যাক।
কাননকুমার ভৌমিক ,রবীন্দু বিশ্বা
স ,সমীরণ মজুমদার ,রাজকল্যাণ চেল ,নাসের হোসেন , জহর সেনমজুদার ,খোকন বসু ,অরূপ আচার্য ,সুমিতেশ সরকার এবং সদ্য প্রয়াত কবি প্রদীপেন্দু মৈত্র-র নতুন কবিতার বই।
কবিতাপাক্ষিক পত্রিকার পাশাপাশি প্রকাশনাতে প্রবেশ করার তারিখটি ইতিহাসে লেখা আছে।
সেই ইতিহাসকথা আগামীকাল।দুই ২৪ কথা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন