কিছু বই কিছু কথা । নীলাঞ্জন কুমার
জল সরে যায় । অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় । কৃষ্ণসীস প্রকাশন। আশি টাকা ।
জীবনানন্দ যুগ এমনই এক যুগ যাকে আমরা অন্তরের অন্তঃস্থলে এখনও কেমন করে পুষে রেখেছি । যেহেতু তার আকর্ষণ এক অমোঘ চুম্বকের মতো তাই কবিতায় যদি কোন জীবনানন্দ গঠন আসে ও তার ভাবনার সঙ্গে নিজস্ব ভাবনা মিলিত হয় তখন সেই কবির ভেতর আনন্দ জাগে, সে কারণে কবি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'জল সরে যায় ' কাব্যগ্রন্থে যখন লেখেন: ' ঘাস মাটি বিবরের আনাচেকানাচে , যদি পাই ফিরে/ একটি জন্ম শুধু ধানসিড়ি নদীটির তীরে ।' তখন এ কবিতা জীবনানন্দ আরোপিত বলে দোষ ধরিনা, বরং বাহবা দিই ।
অনন্যার কবিতার স্বাদে জীবনানন্দ অন্তত এই কাব্যগ্রন্থে নিরন্তর উঁকি দিয়েছে ; যেমন: ' আকুল সন্ধানী আমি হয়ে আছি হাওয়া হাওয়া বাতাসের কাছে ঋণী ।'(ঋণী) নয়তো, ' অবলীলাময় সাক্ষাতের ক্ররতা/ নিলাজ মায়া ঢেকে রাখো মান্যতায়।' ' (মায়াময়) পড়লে জানা যায়। তবে জীবনানন্দ ভীষণ ছোঁয়াচে হওয়ার কারণে যদি একবার তিনি ধরেন তবে তার সংক্রমণ যে সুদূরপ্রসারী তা বইটি পরতে পরতে বুঝিয়ে ছাড়ে ।
সত্যি বলতে কি, অনন্যাকে এ কাব্যগ্রন্থে তেমনভাবে পাওয়া যায় না ।তিনি নিজস্ব ডিকসন থেকে সরে পুরোনোর সঙ্গে মিতালি করেছেন ।ফলে ' এ সব কিছু আগেই আগে পড়ে ফেলা ' মনে করতে করতে বইটি পড়া শেষ হয়ে যায় ও আমাদের জীবনানন্দ যুগের স্বাদ পেতে সাহায্য করে। কুন্দন গাঙ্গুলীর প্রচ্ছদকর্ম বাহাদুরি করার মতো নয়, তবে ইঙ্গিতবাহী ।
জল সরে যায় । অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় । কৃষ্ণসীস প্রকাশন। আশি টাকা ।
জীবনানন্দ যুগ এমনই এক যুগ যাকে আমরা অন্তরের অন্তঃস্থলে এখনও কেমন করে পুষে রেখেছি । যেহেতু তার আকর্ষণ এক অমোঘ চুম্বকের মতো তাই কবিতায় যদি কোন জীবনানন্দ গঠন আসে ও তার ভাবনার সঙ্গে নিজস্ব ভাবনা মিলিত হয় তখন সেই কবির ভেতর আনন্দ জাগে, সে কারণে কবি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'জল সরে যায় ' কাব্যগ্রন্থে যখন লেখেন: ' ঘাস মাটি বিবরের আনাচেকানাচে , যদি পাই ফিরে/ একটি জন্ম শুধু ধানসিড়ি নদীটির তীরে ।' তখন এ কবিতা জীবনানন্দ আরোপিত বলে দোষ ধরিনা, বরং বাহবা দিই ।
অনন্যার কবিতার স্বাদে জীবনানন্দ অন্তত এই কাব্যগ্রন্থে নিরন্তর উঁকি দিয়েছে ; যেমন: ' আকুল সন্ধানী আমি হয়ে আছি হাওয়া হাওয়া বাতাসের কাছে ঋণী ।'(ঋণী) নয়তো, ' অবলীলাময় সাক্ষাতের ক্ররতা/ নিলাজ মায়া ঢেকে রাখো মান্যতায়।' ' (মায়াময়) পড়লে জানা যায়। তবে জীবনানন্দ ভীষণ ছোঁয়াচে হওয়ার কারণে যদি একবার তিনি ধরেন তবে তার সংক্রমণ যে সুদূরপ্রসারী তা বইটি পরতে পরতে বুঝিয়ে ছাড়ে ।
সত্যি বলতে কি, অনন্যাকে এ কাব্যগ্রন্থে তেমনভাবে পাওয়া যায় না ।তিনি নিজস্ব ডিকসন থেকে সরে পুরোনোর সঙ্গে মিতালি করেছেন ।ফলে ' এ সব কিছু আগেই আগে পড়ে ফেলা ' মনে করতে করতে বইটি পড়া শেষ হয়ে যায় ও আমাদের জীবনানন্দ যুগের স্বাদ পেতে সাহায্য করে। কুন্দন গাঙ্গুলীর প্রচ্ছদকর্ম বাহাদুরি করার মতো নয়, তবে ইঙ্গিতবাহী ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন