সৌমিত্র রায়-এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
২৯.
প্রথম বর্ষ পূর্তি থেকে দ্বিতীয় বর্ষ পূর্তির দূরত্ব মাত্র এক বছর। এটা পাটিগণিতের হিসেব।জ্যামিতি এবং কো-অর্ডিনেট জিওমেট্রিতে দূরত্ব কতটা বাড়বে না কমবে তা মেপে দেখার সুযোগ নেই।
প্রথম বর্ষ পূর্তি : 24 এপ্রিল 1994 |আদ্রা ,পুরুলিয়া
দ্বিতীয় বর্ষ পূর্তি :23 এপ্রিল 1995 | বাজোরিয়া গেস্ট হাউস, লালবাজার , বাঁকুড়া।
কবিতাপাক্ষিক ৪৯ - এ কবিতা সংবাদ শুরু করেছিলাম :
বাঁকুড়ার কড়া রোদ এত লাবণ্যময় মনে হল কেন ? এই কেন-র উত্তর তখন দেওয়া হয়নি। এখন ঢাক পিটিয়ে বলতে পারি কবিতার নিয়মিত পাক্ষিক পত্রিকা তখন পর্যন্ত টানা দু-বছর প্রকাশের কোনো ঐতিহ্য খুঁজে পাওয়া যাবে না।
বাঁকুড়া লালবাজার মোড়ে রবীন্দ্রনাথের আবক্ষ মূর্তিতে মালা দিতে সমবেতভাবে গিয়েছিলাম। মাল্যদান করেছিলেন উৎসব কমিটির পক্ষে মোহন সিংহ এবং আমি।
দেবনাথ কুণ্ডু-র পরিচালনায় ভারতীয় সংগীত বিদ্যাপিঠের ছাত্রীদের রবীন্দ্রগান দিয়ে শুরু হয়েছিল কবিতাউৎসব।
মঞ্চের নাম : শক্তি চট্টোপাধ্যায় সুনীর বসু মঞ্চ।
উদ্বোধক-সভাপতি : কবি অবনী নাগ।
প্রধান অতিথি : পবিত্র মুখোপাধ্যায়।
স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ : সমরেন্দ্র দাশ।
লেখক প্রভাত চট্টোপাধ্যায় এবং কবি রবি গঙ্গোপাধ্যায় - কে ঢোকরার পঞ্চপ্রদীপ এবং উত্তরীয় দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এই উৎসব উপলক্ষে প্রকাশিত হয়েছিল ভূদেব কর-এর কবিতার বই। তাছাড়া প্রকাশিত হয়েছিল বাঁকুড়া জেলার বিশিষ্ট পত্রিকা কলম্বাস ,সত্যসাধন চেল সম্পাদিত ভোরবেলা , প্রলয় মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত উদ্ভিদ , আশিসকুমার রায় সম্পাদিত যামিনী তৎসহ বীরভূমের ময়ূরেশ্বর থেকে শৈলেন গড়াই সম্পাদিত জীবন।
বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয় রাজকল্যাণ চেল পরিকল্পিত কবিতা উৎসব কমিটির স্মারকগ্রন্থ। যার মূল বিষয় : বাংলাকবিতার পাঠক পুনরুদ্ধার।
কবিতাপাঠের সঞ্চালক : জ্যোৎস্না কর্মকার।
এসব কথা আমি ভুলে যেতেই পারি , কিন্তু যা একবার লেখা হয়ে যায় তা মুছে ফেলার ক্ষমতা যেকেবল আমার নেই , এমনটা ভেবে আমাকে দুর্বল ভেবে বসবেন না। ইতিহাস-কে মুছে ফেলার ক্ষমতা কারোই নেই।
কবিতাপাঠের ইতিবৃত্ত আগামীকালের জন্য ঝুলিয়ে রাখলাম , কিন্তু নৈশাহারের বৃত্তান্ত আজই পেশ করছি।
বাঁকুড়া-র বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার পৃষ্ঠপোষক বাবুলাল জালানের বাড়িতে আমন্ত্রণ ছিল সকলের।
বুফে ডিনার। জালানের বাড়ির মহিলা এবং পুরুষেরা সকলে মিলে যে আপ্যায়ন করেছিলেন তার কথা আজও ভুলে যাইনি। ঠিক এরকম অভ্যর্থনা আর কোথাও পেয়েছি তেমনটাও মনে পড়ছে না।
তবে একটা কথা এখনো ভুলে যাইনি । একজন কবি পরিবেশিত একটি খাদ্যকে শনাক্ত করতে পারছিলেন না। আমি বলেছিলাম--- মুগের ডাল। অরিজিন্যাল সোনামুগের ডাল। ওই কবি বিস্মিত হয়েছিলেন। নাম জানানো যাবে না।
প্রভাত চৌধুরী
২৯.
প্রথম বর্ষ পূর্তি থেকে দ্বিতীয় বর্ষ পূর্তির দূরত্ব মাত্র এক বছর। এটা পাটিগণিতের হিসেব।জ্যামিতি এবং কো-অর্ডিনেট জিওমেট্রিতে দূরত্ব কতটা বাড়বে না কমবে তা মেপে দেখার সুযোগ নেই।
প্রথম বর্ষ পূর্তি : 24 এপ্রিল 1994 |আদ্রা ,পুরুলিয়া
দ্বিতীয় বর্ষ পূর্তি :23 এপ্রিল 1995 | বাজোরিয়া গেস্ট হাউস, লালবাজার , বাঁকুড়া।
কবিতাপাক্ষিক ৪৯ - এ কবিতা সংবাদ শুরু করেছিলাম :
বাঁকুড়ার কড়া রোদ এত লাবণ্যময় মনে হল কেন ? এই কেন-র উত্তর তখন দেওয়া হয়নি। এখন ঢাক পিটিয়ে বলতে পারি কবিতার নিয়মিত পাক্ষিক পত্রিকা তখন পর্যন্ত টানা দু-বছর প্রকাশের কোনো ঐতিহ্য খুঁজে পাওয়া যাবে না।
বাঁকুড়া লালবাজার মোড়ে রবীন্দ্রনাথের আবক্ষ মূর্তিতে মালা দিতে সমবেতভাবে গিয়েছিলাম। মাল্যদান করেছিলেন উৎসব কমিটির পক্ষে মোহন সিংহ এবং আমি।
দেবনাথ কুণ্ডু-র পরিচালনায় ভারতীয় সংগীত বিদ্যাপিঠের ছাত্রীদের রবীন্দ্রগান দিয়ে শুরু হয়েছিল কবিতাউৎসব।
মঞ্চের নাম : শক্তি চট্টোপাধ্যায় সুনীর বসু মঞ্চ।
উদ্বোধক-সভাপতি : কবি অবনী নাগ।
প্রধান অতিথি : পবিত্র মুখোপাধ্যায়।
স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ : সমরেন্দ্র দাশ।
লেখক প্রভাত চট্টোপাধ্যায় এবং কবি রবি গঙ্গোপাধ্যায় - কে ঢোকরার পঞ্চপ্রদীপ এবং উত্তরীয় দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এই উৎসব উপলক্ষে প্রকাশিত হয়েছিল ভূদেব কর-এর কবিতার বই। তাছাড়া প্রকাশিত হয়েছিল বাঁকুড়া জেলার বিশিষ্ট পত্রিকা কলম্বাস ,সত্যসাধন চেল সম্পাদিত ভোরবেলা , প্রলয় মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত উদ্ভিদ , আশিসকুমার রায় সম্পাদিত যামিনী তৎসহ বীরভূমের ময়ূরেশ্বর থেকে শৈলেন গড়াই সম্পাদিত জীবন।
বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয় রাজকল্যাণ চেল পরিকল্পিত কবিতা উৎসব কমিটির স্মারকগ্রন্থ। যার মূল বিষয় : বাংলাকবিতার পাঠক পুনরুদ্ধার।
কবিতাপাঠের সঞ্চালক : জ্যোৎস্না কর্মকার।
এসব কথা আমি ভুলে যেতেই পারি , কিন্তু যা একবার লেখা হয়ে যায় তা মুছে ফেলার ক্ষমতা যেকেবল আমার নেই , এমনটা ভেবে আমাকে দুর্বল ভেবে বসবেন না। ইতিহাস-কে মুছে ফেলার ক্ষমতা কারোই নেই।
কবিতাপাঠের ইতিবৃত্ত আগামীকালের জন্য ঝুলিয়ে রাখলাম , কিন্তু নৈশাহারের বৃত্তান্ত আজই পেশ করছি।
বাঁকুড়া-র বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার পৃষ্ঠপোষক বাবুলাল জালানের বাড়িতে আমন্ত্রণ ছিল সকলের।
বুফে ডিনার। জালানের বাড়ির মহিলা এবং পুরুষেরা সকলে মিলে যে আপ্যায়ন করেছিলেন তার কথা আজও ভুলে যাইনি। ঠিক এরকম অভ্যর্থনা আর কোথাও পেয়েছি তেমনটাও মনে পড়ছে না।
তবে একটা কথা এখনো ভুলে যাইনি । একজন কবি পরিবেশিত একটি খাদ্যকে শনাক্ত করতে পারছিলেন না। আমি বলেছিলাম--- মুগের ডাল। অরিজিন্যাল সোনামুগের ডাল। ওই কবি বিস্মিত হয়েছিলেন। নাম জানানো যাবে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন