পূরবী ||প্রায় এক অচেনা রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে ধারাবাহিক উপন্যাস...
অভিজিৎ চৌধুরী
(১)
অমিত বলল, স্যার আমার খুব মন খারাপ। কোনক্রমে বললাম, কি হয়েছে!
আমার ৬ বছরের ভাগ্নেটার ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়েছে।উত্তর না দিয়ে গাড়িতে উঠে পড়লাম। ও ছুটে আসছিল গাড়ির দিকে,তারপর ফিরে গেলো। পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে হবে।তাদের বাড়ির মানুষেরা পথ চেয়ে বসে আছে।
ফিরলাম যখন বেশ খিদে পেয়েছে। চতুর্থ প্রহরে কোকিল ডাকছে। ভাত খেয়ে উঠে বললাম,চা দেবে না!
মনে পড়ল অমিতের কথা।বেদনা জেগে উঠল মনে।আহা,ছেলেটার কথাগুলি শুনলামও না।ভাবলাম ফোন করি।তারপর ভাবলাম,এতো রাতে আমার ফোন পেলে উল্টো কথা ভাববে।
ভাববে ডাকছি কোন কাজে!
তার বদলে গেলাম বোলপুরে।এক পরিযায়ী শ্রমিকের কাছে।তাঁর মন তখন পড়ে রয়েছে প্লাতা নদীর ধারে।ছাতিম গাছের তলায় বসে আঁকছেন।
রানি এসে বললে, কবিতা লেখা কি ভুলে গেলে!
মুখ তুলে তাকালেন রবীন্দ্রনাথ।
হিজিবিজি কাটাকুটি না করে আঁকতে পারেন তো! সেই শুরু।
বাংলায় সে বলেনি।ইংরেজিও যে ঝরঝরে বলতো বিজয়া তেমনটা নয়।
বাহ,বেশ নামটা। ভিক্টোরিয়া আর বিজয়া।
কিগো উত্তর দাও।
কবিতা যে লিখতুম ভুলে যেতে বসেচি।এখন আমি পটুয়া।চিত্রকর।
তোমার গান বুঝি,ছবি বড় ভয় করে।
গান রাখলুম তোদের জন্যে আর ছবি দিলুম পশ্চিমকে।
রানি বলল,আজ বড় সাজ হয়েছে যে!
হো হো করে হেসে উঠলেন রবীন্দ্রনাথ।
এমন কি আর!
য়ূরোপে তুমি যদি দেখতে!
কেন!
সংগীত ভবন থেকে গানের রিহার্সাল ভেসে আসছে,যদি এ আমারও হৃদয় দোয়ারওবন্ধ থাকে কভু।
রানী বলল,কেমন সাজতে!
রবীন্দ্রনাথ বললেন, জোব্বা ছাড়া তেমন কিছু তো ছিল না। যাচ্ছিলাম পেরু আর তার বদলে গেলুম প্লাতা নদীর ধারে।
সে তো জোর করে মাপ দিয়ে এলো একজনের কাছে।আমার পরিচয় ভাঙলে না।কিন্তু সেও চালাক মেয়ে।
সে দেশে ছেলেদের পোশাক মেয়েরা বানায়!
রবীন্দ্রনাথ বললেন,তাই তো দেকলুম।
অভিজিৎ চৌধুরী
(১)
অমিত বলল, স্যার আমার খুব মন খারাপ। কোনক্রমে বললাম, কি হয়েছে!
আমার ৬ বছরের ভাগ্নেটার ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়েছে।উত্তর না দিয়ে গাড়িতে উঠে পড়লাম। ও ছুটে আসছিল গাড়ির দিকে,তারপর ফিরে গেলো। পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে হবে।তাদের বাড়ির মানুষেরা পথ চেয়ে বসে আছে।
ফিরলাম যখন বেশ খিদে পেয়েছে। চতুর্থ প্রহরে কোকিল ডাকছে। ভাত খেয়ে উঠে বললাম,চা দেবে না!
মনে পড়ল অমিতের কথা।বেদনা জেগে উঠল মনে।আহা,ছেলেটার কথাগুলি শুনলামও না।ভাবলাম ফোন করি।তারপর ভাবলাম,এতো রাতে আমার ফোন পেলে উল্টো কথা ভাববে।
ভাববে ডাকছি কোন কাজে!
তার বদলে গেলাম বোলপুরে।এক পরিযায়ী শ্রমিকের কাছে।তাঁর মন তখন পড়ে রয়েছে প্লাতা নদীর ধারে।ছাতিম গাছের তলায় বসে আঁকছেন।
রানি এসে বললে, কবিতা লেখা কি ভুলে গেলে!
মুখ তুলে তাকালেন রবীন্দ্রনাথ।
হিজিবিজি কাটাকুটি না করে আঁকতে পারেন তো! সেই শুরু।
বাংলায় সে বলেনি।ইংরেজিও যে ঝরঝরে বলতো বিজয়া তেমনটা নয়।
বাহ,বেশ নামটা। ভিক্টোরিয়া আর বিজয়া।
কিগো উত্তর দাও।
কবিতা যে লিখতুম ভুলে যেতে বসেচি।এখন আমি পটুয়া।চিত্রকর।
তোমার গান বুঝি,ছবি বড় ভয় করে।
গান রাখলুম তোদের জন্যে আর ছবি দিলুম পশ্চিমকে।
রানি বলল,আজ বড় সাজ হয়েছে যে!
হো হো করে হেসে উঠলেন রবীন্দ্রনাথ।
এমন কি আর!
য়ূরোপে তুমি যদি দেখতে!
কেন!
সংগীত ভবন থেকে গানের রিহার্সাল ভেসে আসছে,যদি এ আমারও হৃদয় দোয়ারওবন্ধ থাকে কভু।
রানী বলল,কেমন সাজতে!
রবীন্দ্রনাথ বললেন, জোব্বা ছাড়া তেমন কিছু তো ছিল না। যাচ্ছিলাম পেরু আর তার বদলে গেলুম প্লাতা নদীর ধারে।
সে তো জোর করে মাপ দিয়ে এলো একজনের কাছে।আমার পরিচয় ভাঙলে না।কিন্তু সেও চালাক মেয়ে।
সে দেশে ছেলেদের পোশাক মেয়েরা বানায়!
রবীন্দ্রনাথ বললেন,তাই তো দেকলুম।
Mon diye porchhi ai lekha. Dekha jak lekhok amader kon abishkarer dike niye jan hat dhore.
উত্তরমুছুন