সৌমিত্র রায় -এর জন্য গদ্য
প্রভাত চৌধুরী
৩.
গতদিন শেষ করেছিলাম কবিতাকে আপডেট করার প্রস্তাব দিয়ে। এখন কীভাবে আপডেট করতে হবে তার দিক নির্দেশ করাটাও আমার কর্তব্য। এই প্রকল্পে প্রথম এবং প্রধান কাজ হল , সম্মাননীয় আধুনিক কবিজনেরা যেভাবে কবিতাকে সমৃদ্ধ করেছেন তার চিহ্নগুলিকে মান্যতা দেওয়া। অর্থাৎ প্রাক আধুনিক যুগের কবিতাকে যে অসীম দক্ষতায় আধুনিকতায় উন্নয়ন করেছিলেন , তার ঐতিহাসিক গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিতে হবে।
এর ঠিক পরবর্তী কাজটি হল : আধুনিকরা যে যে জায়গাগুলিকে আলোকিত করতে পারেননি , সেগুলিকে চিহ্নিত করা। এবং সেই চিহ্নগুলিকে অনুসরণ করে নতুন পরিসর নির্মাণ করা।
যেমন ধরে নিন , আধুনিকরা যুক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পছন্দ করতেন। আমাদের অন্যতম একটি কাজ হবে --- যুক্তিফাটল বা লজিক্যাল ক্লেপ্ট খুঁজে দ্যাখা।
এই খোঁজার আগে জেনে নিতে হবে ' যুক্তি ফাটল '-এর প্রকৃত অর্থ এবং তার প্রয়োগের দিকগুলি। বাংলাভাষার কবি এবং প্রাবন্ধিক রুদ্র কিংশুক তার 'পোস্টমডার্ন শব্দাভিধান ' গ্রন্থটিতে যুক্তিফাটল-কে কীভাবে দেখেছিল ।
' যুক্তিফাটল বা লজিক্যাল ক্লেফ্ট কথাটা পদার্থবিদ্যার পরিসর থেকে সাহিত্য আলোচনা বা পাঠকৃতিতে জায়গা করে নিয়েছে।হাইজেনবার্গ , পাউলি প্রমূখ বিজ্ঞানীর উন্নত গবেষণা মানুষের ধারণা- জগতকে আমূল বদলে দিচ্ছে । - - - - - কিন্তু যুক্তিহীনতা নয় , ভিন্নতর যুক্তি বা চিন্তাচেতনার আবিষ্কারই এখানে উদ্দিষ্ট। '
রুদ্র কিশুক প্রদত্ত এই সংজ্ঞাটিকে মর্যাদা দেওয়া প্রাথমিক শর্ত হওয়া উচিত।
এখন এই সূত্রটিকে প্রমাণ করার আগে আরো একটা কথা বলে রাখতে চাইছি। তা হল : সত্যের সন্ধান।
এখন জানতে হবে সত্য কয় প্রকার । বা যুক্তি দিয়ে প্রতিষ্ঠিত যে কথা , কেবলমাত্র সেগুলিই সত্য ।বাকি সবই অসত্য।
তাহলে যুক্তিফাটলজাত সত্যগুলি কি সত্য নয় ? কিংবা কবিতার সত্য বলে আমি যাকে চিহ্নিত করি সেগুলি কি সত্য ৷
একটি যুক্তির মুখোমুখি উপস্থাপিত করতে চাইছি কবিতার সত্যকে। এখন এই সত্যকে মান্যতা দিতেই হবে। কারণ এই সত্যকে মান্যতা দেবার মধ্য থেকেই সঞ্চারিত করতে হবে আধুনিকতার যুক্তি নির্ভরতার থেকে বেরিয়ে এসে নতুন কবিতাপথ নির্মাণের যাবতীয় ঐতিহ্য। এই কাজ আমাদের এখানে শুরু হয়েছিল গত শতকের নয়ের দশকে।সেসব কথা পরের এপিসোডে।
প্রভাত চৌধুরী
৩.
গতদিন শেষ করেছিলাম কবিতাকে আপডেট করার প্রস্তাব দিয়ে। এখন কীভাবে আপডেট করতে হবে তার দিক নির্দেশ করাটাও আমার কর্তব্য। এই প্রকল্পে প্রথম এবং প্রধান কাজ হল , সম্মাননীয় আধুনিক কবিজনেরা যেভাবে কবিতাকে সমৃদ্ধ করেছেন তার চিহ্নগুলিকে মান্যতা দেওয়া। অর্থাৎ প্রাক আধুনিক যুগের কবিতাকে যে অসীম দক্ষতায় আধুনিকতায় উন্নয়ন করেছিলেন , তার ঐতিহাসিক গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিতে হবে।
এর ঠিক পরবর্তী কাজটি হল : আধুনিকরা যে যে জায়গাগুলিকে আলোকিত করতে পারেননি , সেগুলিকে চিহ্নিত করা। এবং সেই চিহ্নগুলিকে অনুসরণ করে নতুন পরিসর নির্মাণ করা।
যেমন ধরে নিন , আধুনিকরা যুক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পছন্দ করতেন। আমাদের অন্যতম একটি কাজ হবে --- যুক্তিফাটল বা লজিক্যাল ক্লেপ্ট খুঁজে দ্যাখা।
এই খোঁজার আগে জেনে নিতে হবে ' যুক্তি ফাটল '-এর প্রকৃত অর্থ এবং তার প্রয়োগের দিকগুলি। বাংলাভাষার কবি এবং প্রাবন্ধিক রুদ্র কিংশুক তার 'পোস্টমডার্ন শব্দাভিধান ' গ্রন্থটিতে যুক্তিফাটল-কে কীভাবে দেখেছিল ।
' যুক্তিফাটল বা লজিক্যাল ক্লেফ্ট কথাটা পদার্থবিদ্যার পরিসর থেকে সাহিত্য আলোচনা বা পাঠকৃতিতে জায়গা করে নিয়েছে।হাইজেনবার্গ , পাউলি প্রমূখ বিজ্ঞানীর উন্নত গবেষণা মানুষের ধারণা- জগতকে আমূল বদলে দিচ্ছে । - - - - - কিন্তু যুক্তিহীনতা নয় , ভিন্নতর যুক্তি বা চিন্তাচেতনার আবিষ্কারই এখানে উদ্দিষ্ট। '
রুদ্র কিশুক প্রদত্ত এই সংজ্ঞাটিকে মর্যাদা দেওয়া প্রাথমিক শর্ত হওয়া উচিত।
এখন এই সূত্রটিকে প্রমাণ করার আগে আরো একটা কথা বলে রাখতে চাইছি। তা হল : সত্যের সন্ধান।
এখন জানতে হবে সত্য কয় প্রকার । বা যুক্তি দিয়ে প্রতিষ্ঠিত যে কথা , কেবলমাত্র সেগুলিই সত্য ।বাকি সবই অসত্য।
তাহলে যুক্তিফাটলজাত সত্যগুলি কি সত্য নয় ? কিংবা কবিতার সত্য বলে আমি যাকে চিহ্নিত করি সেগুলি কি সত্য ৷
একটি যুক্তির মুখোমুখি উপস্থাপিত করতে চাইছি কবিতার সত্যকে। এখন এই সত্যকে মান্যতা দিতেই হবে। কারণ এই সত্যকে মান্যতা দেবার মধ্য থেকেই সঞ্চারিত করতে হবে আধুনিকতার যুক্তি নির্ভরতার থেকে বেরিয়ে এসে নতুন কবিতাপথ নির্মাণের যাবতীয় ঐতিহ্য। এই কাজ আমাদের এখানে শুরু হয়েছিল গত শতকের নয়ের দশকে।সেসব কথা পরের এপিসোডে।
অপেক্ষায় থাকলাম॥
উত্তরমুছুনসমৃদ্ধ হচ্ছি॥হয়ার জন্য॥
অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী সংখ্যার জন্য। খুব জরুরি
উত্তরমুছুন