যাদুবিন্দু গোঁসাইয়ের আখড়া
রুদ্র কিংশুক
আমরা এখন যাচ্ছি পাঁচলকি, যাদুবিন্দু বাড়ি
সূর্য পড়ছে আলতো ঢলে, মৃদু জামগাছে একা
বলাই ফকির হাতে একতারা হাসিমুখে বলে--
মহাজন ব্যক্তি সব, ত্রিকালজ্ঞ, বহুদর্শী পাখি
মনে মনে জোড়হাত, শ্রদ্ধানত তাঁহাদের পায়ে
ক্রমে ক্রমে আলো কমে, পথে গুরুজোয়ানির জল।
শেষখেয়া সাঙ্গ হল, নৌকা বাঁধে, জোয়ারের জল
তারা হাওয়া লাগে ডালে, আলোড়িত পাখিদের বাড়ি
উষ্ণ-মগ্ন ডিমের বিভা, নবীন গাছেদের পায়ে
ইক্ষুখেতে জ্বলে ওঠে অকস্মাৎ জ্ঞানচক্ষু একা,
অবনত কলাগাছ, ফলভারে অস্পন্দিত পাখি
তার আঘ্রানে উন্মুখ উন্মোচিত নীলিমায় বলে।
আখড়া প্রাঙ্গণে দাঁড়ানো পাকুড় গাছ, বলে--
লোকগুরু, লোকমান্য,গাঢ়-হিম, চমকিত জল
উড্ডীনতা সেতুধর্ম, তারও ছায়া জলপিপি পাখি
মুখে নিয়ে ছুটে যায় গাঢ়তর দলদাম বাড়ি
আমি তার চকিত উড়াল গানে খুঁজে পাই একা
শব্দভেদী তীর, মগ্নব্রত ধ্যানে, নামে কারো পায়ে
যে জানে সে মনে মনে জানে সাংকেতিক পাখি
আমি তার ছায়া দেখি, গান রাখি দিশাময় পায়ে
অমনি খোলে হঠাৎ তন্তুজাল, কথনগুটি প্রাঞ্জল বাড়ি,
আশ্চর্য এ দীপজ্বালা অন্ধকার, দ্যুতিময় জল
আমাকে গ্রহণ করে বৈদ্যুতিন আকর্ষণে একা।
ফুলপাতা নদীজল উত্তাল তরঙ্গময় পায়ে
নিবেদিত প্রাকৃতিক পূজা অর্ঘ্য স্বাভাবিক,বলে--
চলে যায় ক্রমাগত গাঢ়তর অন্ধকারে একা
পড়ো তাকে, গূহ্যলিপি, জলার্কের ছায়ালিপি, জল
গূঢ়লিপি, তন্ত্রশাস্ত্রী, সুফীবাদী,বারজোখ বাড়ি
রাবেতা কোথায় আছে চিহ্নাকুল ,মনোযোগী পাখি।
বলাই ফকির জানে বারজোখ, সুফিতত্ত্ব একা
আমি এক প্রশ্নবোধি, দলছুট, ধ্যানলোভী পাখি
বাসা খুঁজি, ভালোবাসা খুঁজি,ডানা থেকে ঝারি জল
ফকিরই সঠিক জানে, রাবেতার আলো লাগে পায়ে
ধীরে ধীরে মেঘ কাটে, গর্জমান অন্ধকার, বলে--
অন্তরঙ্গ হেঁটে গেলে জলপিপি পাখি পায় বাড়ি
যাদুবিন্দু, তার আন্তরিক হাওয়া, সপ্ততল বাড়ি
তাহার প্রাঙ্গণ মাটি, রূপান্তর লাগে পায়ে
আমি মূলাধারোদ্ধিত বিহঙ্গ, চন্দ্রালোক-জল
রুদ্র কিংশুক
আমরা এখন যাচ্ছি পাঁচলকি, যাদুবিন্দু বাড়ি
সূর্য পড়ছে আলতো ঢলে, মৃদু জামগাছে একা
বলাই ফকির হাতে একতারা হাসিমুখে বলে--
মহাজন ব্যক্তি সব, ত্রিকালজ্ঞ, বহুদর্শী পাখি
মনে মনে জোড়হাত, শ্রদ্ধানত তাঁহাদের পায়ে
ক্রমে ক্রমে আলো কমে, পথে গুরুজোয়ানির জল।
শেষখেয়া সাঙ্গ হল, নৌকা বাঁধে, জোয়ারের জল
তারা হাওয়া লাগে ডালে, আলোড়িত পাখিদের বাড়ি
উষ্ণ-মগ্ন ডিমের বিভা, নবীন গাছেদের পায়ে
ইক্ষুখেতে জ্বলে ওঠে অকস্মাৎ জ্ঞানচক্ষু একা,
অবনত কলাগাছ, ফলভারে অস্পন্দিত পাখি
তার আঘ্রানে উন্মুখ উন্মোচিত নীলিমায় বলে।
আখড়া প্রাঙ্গণে দাঁড়ানো পাকুড় গাছ, বলে--
লোকগুরু, লোকমান্য,গাঢ়-হিম, চমকিত জল
উড্ডীনতা সেতুধর্ম, তারও ছায়া জলপিপি পাখি
মুখে নিয়ে ছুটে যায় গাঢ়তর দলদাম বাড়ি
আমি তার চকিত উড়াল গানে খুঁজে পাই একা
শব্দভেদী তীর, মগ্নব্রত ধ্যানে, নামে কারো পায়ে
যে জানে সে মনে মনে জানে সাংকেতিক পাখি
আমি তার ছায়া দেখি, গান রাখি দিশাময় পায়ে
অমনি খোলে হঠাৎ তন্তুজাল, কথনগুটি প্রাঞ্জল বাড়ি,
আশ্চর্য এ দীপজ্বালা অন্ধকার, দ্যুতিময় জল
আমাকে গ্রহণ করে বৈদ্যুতিন আকর্ষণে একা।
ফুলপাতা নদীজল উত্তাল তরঙ্গময় পায়ে
নিবেদিত প্রাকৃতিক পূজা অর্ঘ্য স্বাভাবিক,বলে--
চলে যায় ক্রমাগত গাঢ়তর অন্ধকারে একা
পড়ো তাকে, গূহ্যলিপি, জলার্কের ছায়ালিপি, জল
গূঢ়লিপি, তন্ত্রশাস্ত্রী, সুফীবাদী,বারজোখ বাড়ি
রাবেতা কোথায় আছে চিহ্নাকুল ,মনোযোগী পাখি।
বলাই ফকির জানে বারজোখ, সুফিতত্ত্ব একা
আমি এক প্রশ্নবোধি, দলছুট, ধ্যানলোভী পাখি
বাসা খুঁজি, ভালোবাসা খুঁজি,ডানা থেকে ঝারি জল
ফকিরই সঠিক জানে, রাবেতার আলো লাগে পায়ে
ধীরে ধীরে মেঘ কাটে, গর্জমান অন্ধকার, বলে--
অন্তরঙ্গ হেঁটে গেলে জলপিপি পাখি পায় বাড়ি
যাদুবিন্দু, তার আন্তরিক হাওয়া, সপ্ততল বাড়ি
তাহার প্রাঙ্গণ মাটি, রূপান্তর লাগে পায়ে
আমি মূলাধারোদ্ধিত বিহঙ্গ, চন্দ্রালোক-জল
ektaduto slips aachhe. spelling mistakes. pore thikkore nebo.
উত্তরমুছুন