বিশ্ব দুনিয়ার নতুন কবিতা
রুদ্র কিংশুক
লুৎফা হানুম সালিমা বেগম
লুৎফা হানুম সালিমা বেগম ( লুটফা হানুম ছালিমা বেগম , Lutfa Hanum Salima Begum, 1962) বেগম সাম্প্রতিক অসমীয়া কবিতা উল্লেখযোগ্য নাম। তাঁর কবিতা সহজবোধ্য । খুব সহজভাবে স্বল্প প্রকরণের ব্যবহারে তিনি বলতে পারেন গূঢ় কথা। মানুষের চিরকালীন দুঃখ-বেদনার কথা তাঁর কবিতায়। প্রতিদিনের জীবনের মধ্য থেকেই উঠে আসে তা়ঁর চিত্রকল্প বা চিহ্নকল্প। চিরকালীন পরম্পরা ও আধুনিকতা তাঁর কবিতায় সুনিপুণ গ্রন্থিত গ্রন্থিত আধুনিকতা তাঁর কবিতায় সুনিপুণ গ্রন্থিত গ্রন্থিত।
১.
একটি চিঠি
ঘাস চিঠি লিখেছিল
আকাশকে
বাতাস এসে তাকে নিয়ে
গেল বাতাস খেলা করলো
এক পশলা বৃষ্টির জন্যে বৃষ্টির জন্যে পশলা বৃষ্টির জন্যে বৃষ্টির জন্যে
এক পশলা বৃষ্টির জন্যে বৃষ্টির জন্যে পশলা বৃষ্টির জন্যে
তার উত্তর স্বরূপ
২.
ছিদ্র
বহুকাল থেকেই বহু ছিদ্র
নরকে
এখন স্বর্গেও দেখা গেল
একটা ছিদ্র
স্বর্গের চোখের জল
এখন মাটিতে পড়ছে
ফোঁটা ফোঁটা
এই ছিদ্র দিয়ে
অপার্থিব সুখের
বন্যায়
পৃথিবী প্লাবিত
ক্রমে ক্রমে ।
৩.
ঝরা পাতা
ঝরা পাতা চায়
সবুজ পথ
গাছের শাখায় ফিরবে বলে
পাখিরা হতে চায়
ডিমের ভিতর হলদে কুসুম
নদী চায়
মৃত মাছেরা ফিরে আসুক
ছায়া হতে চায়
গাছ
মানুষের হৃদয়
ধোয়া হতে চায় লাল পথে
আগুনের হৃদয়ে ফিরতে
জল হয়ে উঠবে পাথর
পাথর বিগলিত হবে
মানুষের হৃদয়ে
আর আমি চলে যাব তোমার ভেতরে
চাই পথ ফিরতে নিজের ভেতর
সবুজের ভেতর দিয়ে
জল পাথরের ভেতর দিয়ে
শব্দ আর সুর
৪.
কেউ এলো না
কেউ এলো না
ভালোবাসার উৎসব পাত্রে
প্রদীপ জ্বলতেই থাকে
আমি খুঁড়লাম সারারাত ধরে
কিন্তু জল পেলাম না
৫.
নিজেকেই রোপন করো
সে আমাকে দিয়েছিল বাঁশি
স্বপ্নে আমার ঠোঁটে
আর বলেছিল
সুর বানাও
আমি তোমাকে দুঃখ দেব
দুঃখ নিয়ে আমি কী করব
বানাও একটা সুখের বাড়ি
যদি সুখের বাড়ি
ভেসে যায় চোখের জলে
পলি জমবে বুকের ভেতরে
কী ঘটবে তখন
জীবন হবে উর্বর
রোপন করো নিজেকেই সেখানে
৬.
পাখি উড়ছে
পাখি উড়ছে এদিক সেদিক
পাহাড়- উপত্যাকার উপর, নদী-ঝরনার উপরে
সে ওড়ে
যদি সে একটা গাছ পেত
জিরিয়ে নিত তার সুন্দর ডানা
আর ছোট্ট কাঁপা কাঁপা হৃদয়
যদি সে পেতো এমন একটা গাছ
বৃষ্টির মতো উঁচু
ডালপালা আর পাতায়
নদীর মতো বড়ো
তার উপর সে বানাতো বাসা
সূর্যের মতো বড়ো
তার ডিমের ভেতরে সে হয়ে উঠত আবার
নিজেই হলুদ
মায়ের বুকে ঘুমাবে বলে
রুদ্র কিংশুক
লুৎফা হানুম সালিমা বেগম
লুৎফা হানুম সালিমা বেগম ( লুটফা হানুম ছালিমা বেগম , Lutfa Hanum Salima Begum, 1962) বেগম সাম্প্রতিক অসমীয়া কবিতা উল্লেখযোগ্য নাম। তাঁর কবিতা সহজবোধ্য । খুব সহজভাবে স্বল্প প্রকরণের ব্যবহারে তিনি বলতে পারেন গূঢ় কথা। মানুষের চিরকালীন দুঃখ-বেদনার কথা তাঁর কবিতায়। প্রতিদিনের জীবনের মধ্য থেকেই উঠে আসে তা়ঁর চিত্রকল্প বা চিহ্নকল্প। চিরকালীন পরম্পরা ও আধুনিকতা তাঁর কবিতায় সুনিপুণ গ্রন্থিত গ্রন্থিত আধুনিকতা তাঁর কবিতায় সুনিপুণ গ্রন্থিত গ্রন্থিত।
১.
একটি চিঠি
ঘাস চিঠি লিখেছিল
আকাশকে
বাতাস এসে তাকে নিয়ে
গেল বাতাস খেলা করলো
এক পশলা বৃষ্টির জন্যে বৃষ্টির জন্যে পশলা বৃষ্টির জন্যে বৃষ্টির জন্যে
এক পশলা বৃষ্টির জন্যে বৃষ্টির জন্যে পশলা বৃষ্টির জন্যে
তার উত্তর স্বরূপ
২.
ছিদ্র
বহুকাল থেকেই বহু ছিদ্র
নরকে
এখন স্বর্গেও দেখা গেল
একটা ছিদ্র
স্বর্গের চোখের জল
এখন মাটিতে পড়ছে
ফোঁটা ফোঁটা
এই ছিদ্র দিয়ে
অপার্থিব সুখের
বন্যায়
পৃথিবী প্লাবিত
ক্রমে ক্রমে ।
৩.
ঝরা পাতা
ঝরা পাতা চায়
সবুজ পথ
গাছের শাখায় ফিরবে বলে
পাখিরা হতে চায়
ডিমের ভিতর হলদে কুসুম
নদী চায়
মৃত মাছেরা ফিরে আসুক
ছায়া হতে চায়
গাছ
মানুষের হৃদয়
ধোয়া হতে চায় লাল পথে
আগুনের হৃদয়ে ফিরতে
জল হয়ে উঠবে পাথর
পাথর বিগলিত হবে
মানুষের হৃদয়ে
আর আমি চলে যাব তোমার ভেতরে
চাই পথ ফিরতে নিজের ভেতর
সবুজের ভেতর দিয়ে
জল পাথরের ভেতর দিয়ে
শব্দ আর সুর
৪.
কেউ এলো না
কেউ এলো না
ভালোবাসার উৎসব পাত্রে
প্রদীপ জ্বলতেই থাকে
আমি খুঁড়লাম সারারাত ধরে
কিন্তু জল পেলাম না
৫.
নিজেকেই রোপন করো
সে আমাকে দিয়েছিল বাঁশি
স্বপ্নে আমার ঠোঁটে
আর বলেছিল
সুর বানাও
আমি তোমাকে দুঃখ দেব
দুঃখ নিয়ে আমি কী করব
বানাও একটা সুখের বাড়ি
যদি সুখের বাড়ি
ভেসে যায় চোখের জলে
পলি জমবে বুকের ভেতরে
কী ঘটবে তখন
জীবন হবে উর্বর
রোপন করো নিজেকেই সেখানে
৬.
পাখি উড়ছে
পাখি উড়ছে এদিক সেদিক
পাহাড়- উপত্যাকার উপর, নদী-ঝরনার উপরে
সে ওড়ে
যদি সে একটা গাছ পেত
জিরিয়ে নিত তার সুন্দর ডানা
আর ছোট্ট কাঁপা কাঁপা হৃদয়
যদি সে পেতো এমন একটা গাছ
বৃষ্টির মতো উঁচু
ডালপালা আর পাতায়
নদীর মতো বড়ো
তার উপর সে বানাতো বাসা
সূর্যের মতো বড়ো
তার ডিমের ভেতরে সে হয়ে উঠত আবার
নিজেই হলুদ
মায়ের বুকে ঘুমাবে বলে
অনন্য
উত্তরমুছুন