বুধবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৮

বুড়ো শিকড়ের আত্মকথন রাহুল গঙ্গোপাধ্যায় ৷ বাংলা ৷ নবপর্যায়-৬০২ ৷ ২৯-০৮-২০১৮ ৷

বুড়ো শিকড়ের আত্মকথন

রাহুল গঙ্গোপাধ্যায়

ঘুম ভেঙে গেলো হঠাৎ।ঘুম আসলে বড়ো আপাতদৃশ্যের প্রতিফলন, কারন স্বচ্ছ দেওয়ালের দুই বিপরীত পাড়ে ~ একই সাথে চলা ঘটনার আবহমানতা।চোখের গতিবেগ বাড়লে, দেখা যায় কোলাহলের অনুরণন আর শোনা যায় এলোমেলো আঘাত।কেন যে এমন হয়, বোঝে না সে।আসলে পৃথিবীর সেই বয়সে কোনো অভিধান লেখা হয় নি, যেখানে আদর কথাটির কোনো বিপরীত বা বিপ্রতীপ শব্দ লিপিবদ্ধ থাকে।যদিও, তারই মতো খোদাই করা লিপিও এক বিশালাকার ইতিহাসের অংশত উপোষী বসৎ।সাক্ষ্যের তলব পড়লে, তারা উভয়েই জানে কিভাবে বিচারখানায় দিতে হবে নিজেদের নাম / ঠিকানা / পরিচয় / আবাস।মুহুর্মুহু চিৎকারের শব্দ হয়, কোনো উপযাজকীয় শিকার ছাড়াই।আবার, হয়তো এটাই আসলে শিকার, আর যেটা বন্যপ্রাণীর ক্ষেত্রে বোঝানো হয় ~ জাস্ট প্র্যাকটিসের আগে বসানো শূন্যস্থানে ডেমো।কেটে যায় মুহূর্ত।সময় আরো বেশি গতি বাড়াতে থাকে।নায়ক আরো আরো উঁচুতে আকাশী হাওয়াকলের কাছাকাছি।ছায়া ঢেকে ফেলে শরীর।নগ্ন শরীরের অন্ধকারে চলে পারমাণবিক সমীকরণ, আর তারপর আলোর তাপে ও চাপে শাপগ্রস্ত মানসীর আগুনে রূপের উৎসব।সে সব দেখে।সবই দেখে ~ ততদিনের দুপেয়েদের নাম মানুষ, এটা স্থির।সে সব দেখে, সবই দেখে ~ পিঁপড়েরা ফুলের সঙ্গমে তাড়া মারছে, গুটিপোকা তাপ বাড়ানোর কাজ করছে, মাকড়শার প্রাথমিক শিকার মাকড়সা নিজেই, আর হ্যাঁ পাখিদের টুংটুঙির সাথে কচিকাঁচাদের ক্যাঁচরমেচর।হয়তো সে ভাবে, যতোই আগ্নেয়গিরি ফাটুক, কচিরা যেদিন বড়ো হবে, গল্প শুনবে তার কাছে ~ পৃথিবী যখন তরল থেকে দ্রুত কঠিনের চৌম্বকীয় স্তরে।হয়তো ঘুড়ির ডগায় নাতিশীতোষ্ণ মাটির ঢেলা।সময় কেটে যায়।শুকনো পাতা রোদে পোড়ে।তারপর ঝরে।তারপর নতুন জামা।রঙিন স্বপ্ন।আসলে আমাদের নায়ক ~ ইতিহাসের সাক্ষ্য বয়ে নিয়ে চলে না কি স্বপ্নের,এ তত্ত্ব বড়োই গোলমেলে।কারন, ইতিহাসের প্রতিটি স্পর্শে স্বপ্ন ছাড়া আর কিই বা আছে।যাই থাকুক, সে তো একটা খোলোশ মাত্র

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...