বুড়ো শিকড়ের আত্মকথন
রাহুল গঙ্গোপাধ্যায়
৩
কেটে যাচ্ছে গড়পড়তা সময়, বৃত্তীয় বিন্দুগুলোকে অনুসারী যাপন করে।এঁকে যাচ্ছে রঙপেনসিলের রাস্তা ~ স্বযাপনের কাঠপেন্সিল-স্কেচ।আসলে ধ্রুবতারা যখন বড়ো হয়ে ওঠে, হয়তো তার প্রতিফলনও আকারে বেড়ে যায়, না কি কম ~ এই সব জটিল কোলাহলে সকলকে আশ্রয় দিতে চায় : মাচানতলার অধুনা ভ্রূণ, আমাদের এই গল্পের নায়ক।কোলাহলমুখর আশপাশ / একেএকে সূর্য থেকে চাঁদতারা, আর তাদের ছায়া ~ এটাই হয়তো সভ্যতার ক্রমপরিবর্তন।সে ভাবে আর, বেড়ে ওঠা বয়স তাকে দেখায় ও ভাবায়।মাটির উষ্ণতার ওঠানামায় সে বুঝতে তার বয়স, চারপেয়েদের তৈরি করা শীত বা শীতলতা।এভাবেই একদিন কোলাহল সমীকরণে সে দেখে চারপেয়ে কিছুকিছু হঠাৎ কেমন দুপেয়ে হয়ে হেঁটে বেড়ানো শুরু করেছে।এক বিস্মিত আওয়াজ / অথবা তাদের, তাকে কেন্দ্র করে মেঘবৃষ্টিরোদ-কে ডাকা বা ঘুম পাড়ানো।বড়ো আদর অনুভব করে সে।সে বুঝতে পারে, গোটা মাটিটাকেই সে ছায়া দিয়ে / ঢেকে / না ঢেকে / চুমু খেয়ে / হাত বুলিয়ে ~ জাদুকাঠি আগলে রাখছে।আর এটাই তার সভ্যতাকে কথা দেওয়া আশ্রয়।এই ব্রহ্মাণ্ড কতোই না জানি রঙঘোরে মশগুল।জোনাকির টিপ আর নানান্ শব্দের আবহাওয়ায়, নিজেকে কোনো বিস্মরণের আড়াল নয়।বরং ভালোবাসাবাসির গুহায়, তার হাত বিস্তৃত ও সবল।কথা বলে সে, শব্দের সাথে ও বিপরীত শব্দের সাথে।আস্তেআস্তে মনকেমন করা ঘুমের ঘোরে সে ঘুমিয়ে যায় অনেকক্ষন ধরে, অনেককাল ধরে।মনেমনে ঘুরে আসে রঙিন প্রজাপতির পিঠে চড়ে, মেঘছানা আর নূরপরিদের ছমছমানি দেশ থেকে।মশগুল সবাই।মশগুল সব সবুজ, সমস্ত সাতরঙা ভালোলাগার মাটিবেশ / জল / আকাশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন